যৌতুক-সিজন১

2 0 0
                                    

""""""""""""""""""যৌতুক"""""""""""""""""
{একক নাটক জীবনের জন্য}
বাংলাদেশ,ভারত এই দুই দেশেই বেশি যৌতুক দেখা যায়।এই যৌতুক যে মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে।এই নিয়ে আজকের গল্প।বাংলাদেশের পাবনা জেলায় বাস করে প্রিয়া।প্রিয়া ছোট বোন ও ছোট ভাই আছে।তার মা অনেক কষ্ট করে তার পড়ালেখা করাচ্ছে। তার বাবা বছরে একদিন কাজ করে আরে বাকি দিন কাজ করে না।মূল কথা কাজই করে না।কাজ তো করে না।ঘরের জিনিসপত্র, গয়না সব বিক্রি করে জুয়া খেলে।আর টাকা চাইলে না দিলে তার মাকে মারধরও করে।অনেক বার মেরেছে।প্রিয়া আটকেওছে।তাদের দুঃখে কষ্টে ভরা জীবন।প্রিয়ার বিয়ের বয়স হয়েছে।তাই বিয়ে দিতে হবে।প্রিয়ার বিয়ের জন্য একটা বড় পরিবার থেকে সম্বন্ধ এলো।পরিবার থেকে কোনো টাকা চাইনি।তারপরও মেয়েকে দিতে হলে কিছু তো সঙ্গে দিতেই হবে।এজন্য প্রিয়ার মা তার সব গয়না।,জিনিস বিক্রি করে।বিয়ের দুইদিন আগে ছেলে পক্ষ ফোন করে বলেঃ আমার ছেলের একটা বাইক চাই।প্রিয়ার মা বললঃ বাইকের তো অনেক দাম।আর আপনারা তো বললেন কোনো যৌতুক লাগবে না।ছেলের বাবা বলেঃ এটা তো যৌতুক নয়।মেয়ের সুখের জন্য আপনার দেওয়া জিনিস।যদি দিতে পারেন।তাহলে ভালো। আর না হলে বলুন বিয়ে দেবেন না।প্রিয়ার মা বলেঃ না না...।বিয়ে ভাঙ্গবেন না।আমি বাইক দিতে রাজি।প্রিয়ার মার সব টাকা এবং দার করে দেড় লাখ টাকা হয়।প্রিয়ার মার আজকে একটা বাড়িতে কাজে যেতে হবে।বাড়িতে একদিন কাজ করলেই ২০ হাজার টাকা।তাই টাকা গুলো একটা বক্সে রেখে তালা মেরে দিল।যা প্রিয়ার বাবা ছামচুল দেখে ফেলে।প্রিয়া বাজারে সবজি বিক্রি করতে যায়।তার ছোট ভাই আর বোন স্কুলে যায়।যাবার সময় প্রিয়ার বান্ধবী বলেঃশুনলাম তোর বড় বাড়িতে বিয়ে হবে।প্রিয়াঃ হ্যাঁ কোনো যৌতুকও নেবে না।ফাতেমাঃ ভালো কথা।প্রিয়াঃ আমার মায়ের আর কষ্ট হবে না আমায় বিয়ে দিতে।ফাতেমাঃ হ্যাঁ ছোটবেলা থেকে তোদের কষ্ট দেখছি।এবার মনে হয় শান্তি পাবি তোরা।প্রিয়াঃ আচ্ছা বাজারে যেতে হবে।তুই কিন্তুু বিয়েতে আসিস।এরপর প্রিয়া বাজারে সবজি বিক্রি করতে বসে।গ্রামের মেম্বার এসে বলেঃ বললাম আমাকে বিয়ে কর কোনো টাকা পয়সা লাগবে না।তা না শুনে কোথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করছে।আমার যা সম্পত্তি আছে তার এক ভাগের ওই ছেলের নেই।প্রিয়াঃ বুড়ো হয়ে গেছেন।না আল্লাহ না করুক কয়েকদিন পর মারা যাবেন।এই বয়সে নিজের মেয়ের মতো বয়সী মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে লজ্জা করে না।আর সম্পত্তিটা আসল নয়।ভালোবাসা থাকলেই সারাজীবন সুখে থাকা যায়।যদি কিছু নিতেচান তো নিন নয়লে চলে যান।এরপর মেম্বার বলেঃ আচ্ছা সব সবজি দিয়ে দে।আর এই নে টাকা।এদিকে প্রিয়ার বাবা ছামচুল তালা ভেঙে সব টাকা নিয়ে।জুয়া খেলতে যায়।সবাই বাড়িতে আসে।প্রিয়ার মা মিরা এসে দেখে বক্সের তালা ভাঙ্গা আর কোনো টাকাও নেই।প্রিয়ার মার মাথা কাজ করছিল না।কী করবে।প্রিয়াঃ মা তোমার কী হয়েছে।মিরাঃ এখানে দেড় লাখ টাকা ছিল।এখন নেই।এসব বলে প্রিয়ার মা তার বাবাকে খুজঁতে কলাবাগানে যায়।গিয়ে দেখে তার কাছে মাএ ১০ হাজার টাকা আছে।মিরাঃ এ তুমি কী করলে।আমাদের মেয়ের বিয়ের টাকা তুমি জুয়া খেলে উড়িয়ে দিলে।এখন আমাদের মেয়ের বিয়ে কীভাবে হবে।এবলে প্রিয়ার মা ছামচুলের গলা ধরলে।ছামচুল রেগে তার মাথায় ইট দিয়ে মারে এতে তার মৃত্যুৎ হয়ে যায়।ছামচুল এসব দেখে পালিয়ে যায়।আশে পাশের লোক এসব ঘটনা মেম্বারকে জানায়।মাঝরাতে প্রিয়া তার মায়ের মৃত্যুৎর খবর জেনে দৌড়ে তার কাছে যায়।প্রিয়া তার মায়ের লাশের পাশে তাকিঁয়ে কাদঁছিল।পরদিন সকালে প্রিয়ার বিয়ে।বর পক্ষ চলে আসে।এসে বলেঃ বাইক না দিলে বিয়ে হবে না।প্রিয়াঃ তাহলে বাইকের টাকার জন্যই আজ আমারা মা হারা।তোদের যৌতুক লাগবে তাই না।এবলে ঘর থেকে বটি নিয়ে তাদের তাড়িয়ে দেয়।এদিকে মেম্বার কালকে রাতে প্রিয়াকে তার মায়ের মৃত্যুৎর খবর দিয়ে ডেকেছিল।প্রিয়া কাদঁতে থাকলে। মেম্বার তাকে সান্তনা দেয়ার জন্য জড়িয়ে ধরে।যেটাকে ভিডিও করে ভাইরাল করে দেয়।মেম্বার গ্রামের সব লোক নিয়ে এসেছিল।প্রিয়াকে বিয়ে করতে।মেম্বার বলেঃ তুমি আমার সাথে সমর্পকে জড়িয়েছো।আমি করতে চাইনি তারপর তুমি জোর করে আমাকে দিয়ে করিয়েছো।এখন এসব সবাই জেনে গেছে।মেম্বার কেদেঁ বলেঃ জানি কেউ তোমায় বিয়ে করবে না।লোকজন বলেঃ আপনাকেই বিয়ে করতে হবে এই নষ্টা মেয়েকে।মেম্বার প্রিয়ার দিকে তাকিঁয়ে হাসঁতে থাকে।প্রিয়া সব বুঝতে পারে। প্রিয়া সবাইকে বলে সে এ বিয়েতে রাজি।প্রিয়া সাজার জন্য ঘরে যায়।অনেকখুন হলেও প্রিয়া ঘর থেকে বের হয় না।মেম্বার গ্রামের লোক তার ভাই বোন ঘরে গিয়ে দেখে প্রিয়া ফ্যানের সাথে ফাশঁ নিয়ে মারা গেছে।মেম্বার এসবকে ধামাচাপা দিতে চায়।এমন সময় পুলিশ আসে।প্রিয়া ফোন করে পুলিশকে তার যৌতুক মায়ের মেম্বারের সব কথা বলে।এরপর পুলিশ তার বাবাকে,মেম্বার এবং ছেলেকে পক্ষকে এরেস্ট করে। আর প্রিয়ার লেখা চিঠি অনুযায়ী তার চোখ কিডনির টাকা তার দুই ভাই বোন পায়।রিয়া বয়সে বড় হওয়ায়।সে তার ভাইয়ের খেয়াল রাখে।তার ভাই তার বড় বোন এবং মায়ের মৃত্যুর জন্য প্রতিদিন রাতো কান্না করে
{একটা সমাজে যৌতুক না দিলে মেয়ের বিয়ে হয় না।এই নিয়মটা ভাঙতে হবে।এই যৌতুকের জন্য আজ প্রিয়া এবং তার মাকে জীবন হারাতে হলো এবং তার ভাই বোন হলো অনাথ।তাই আমাদের নিজেদের সচেতন হতে হবে অন্যকে সচেতন করতে হবে।আসুন সবাই একসাথে বলিঃসবাই আমরা শিক্ষিত  পড়ালেখা করি।আসুন যৌতুক মুক্ত দেশ গড়ি}

Du har nått slutet av publicerade delar.

⏰ Senast uppdaterad: Nov 25, 2022 ⏰

Lägg till den här berättelsen i ditt bibliotek för att få aviseringar om nya delar!

বাংলাদেশের যৌতুকের নিয়মDär berättelser lever. Upptäck nu