🌸🌸🌸
সিউল শহরটা আগের মতোই আছে।রাস্তাঘাট,বড় বড় বিল্ডিং সবই একই রকম।রোজ রোজ যেমন উত্তেজনা আর ব্যস্ত মানুষের কোলাহল থাকে আজও তেমন।
তবে শহরটার যদি মন থাকতো তাহলে হয়তো আজ সে ওই কিশোরীর আসার অপেক্ষায় ব্যকুল হয়ে থাকতো।আর সে আসলে মুখে লম্বা-চওড়া একটা হাসি এনে সেই কিশোরীর কোমল মনকে জয় করার যুদ্ধে নেমে পড়তো।
কিন্তু সে হয়তো জানবে যে,,সেই মন আগে থেকেই অন্য কেউ জয় করে নিয়েছে।সে তার না চাইতেই,,,খুবই গোপনে...
তাই শহরের মন থাকলেও সে কিছু করতে পারবে না।যুদ্ধের কোন বিজয় নাদ ছাড়াই সেই কিশোরী মনে ওই ব্যক্তি একচ্ছত্র অধিপতি বিস্তার করেছে।যে করেছে সে হয়তো জানে না।কিন্তু কিশোরী মন ঠিকই জানে।
কিশোরী রায়া যখন এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে যখন প্রথম বারের মতো সিউল শহর কে দেখলো তখন যেন তার মন দুলতে শুরু করলো।তারপর সিউলের হাওয়া এসে সেই দোলার গতিকে যেন আরেকটু বাড়িয়ে দিল।সে নতুন করে যেন সব শিখতে চাইলো,,দেখতে চাইলো,,জানতে চাইলো।
বারবার তাকে কিশোরী বলছি এই কারণে যে তার বয়স এখনো হয়নি তেমন।আঠারো হতেও এখনো কিছুদিন বাকি।আর যদি হয়ও ,,তারপরেও তার মন এখনো 15-16 বছর বয়সী কিশোরীদের মতোই,,যেন এক্ষুণি কেঁদে ফেলবে,,কিছু এধার-ওধার হলে আবার এক্ষুণি মান করে গাল ফুলিয়ে বসে থাকবে।বড় হওয়ার সুযোগটাই যেন কেউ করে দিতে চাই নি।কানের কাছে এসে কেউ বলে নি বাইরের দুনিয়াটা কেমন,,কোন বন্ধুও নেই যে তাকে তার রোজকার দিনের গল্প শোনাবে।তাহলে হয়তো সে কিছুটা হলেও বড় হতে পারতো।
বাবার তৈরি এই ঘরটার ভিতরেই সে বড় হতে থাকলো,মা ছাড়া,ভাই ছাড়া।একাই...!কখনো বইএ মুখ গুজে কিংবা বিছানার বালিশে।দেখতে যদি কিছু ইচ্ছাই হতো তখন সে দেখতো আকাশ।যে আকাশে কখনো কেউ নীলিমা ঢেলে দিত,,আবার মাঝেমাঝে সেই আকাশ বিদ্রোহ করে কালো হয়ে যেত।কখনো আবার ছিটে ছিটে সাদা মেঘ এসে জমা হতো।এই আকাশ আবার দূরে দাঁড়িয়ে আরেকজনও দেখতো।আকাশের রং হয়তো আলাদা ছিল তাদের কিন্তু আকাশটা একই।দুইজন এই আকাশে যেয়েই এক হয়ে যেত ।
বেচারা জে-হোপ ,যার নামেই আছে আশা ,,সেও কারো আশায় দিন কাটাচ্ছে।আকাশের পানে চেয়ে চেয়ে সে কাউকে কল্পনা করে,,কিন্তু ঠিক মন মতো হয় না তার কল্পনার সে।হয়তো তাকে কখনো দেখে নি বলে...!কোথায় যেন একটু কমতি থেকে যায়।তারপরও সে অপেক্ষা করে।তারপরও তাকে কল্পনায় ভিসুয়ালাইজ করে।Raya's POV:
প্রথমবার আমি আমার ঘরের বাইরে পা রেখে এই এতোদূরে এসেছি।রোজ রোজ যেখানে গিয়ে আমার স্বপ্ন রঙিন হয়ে উঠতো আজ আমি এইখানে দাঁড়িয়ে আছি।আমার হাসি যেন কোন বাঁধ মানছে না।ভাই আমার মুখের দিকে তাকিয়ে এমন ভাবে হাসি দিল যেন সে বিশ্বজয় করে ফেলেছে।তার অপ্সরাকে সে আজ এতো হাসতে দেখছে।আর সেই পেরেছে।
-চল আগে বাসায় যাই।তারপর কাল আমরা খুব ঘুরবো।অনেক কিছু শপিং করবো।আমি মাথা নাড়লাম।ভাই আমাকে নিয়ে তার বাসায় গেল।ভাবী এসে আমাদের জন্য দরজা খুলে দিল।
-কি আমার ছোট্ট বোন আমাদের কাছে এসেছো তাহলে...!আমি ভাবীর দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছি।কেমন যেন একটা আপন আপন ভাব।ভাবীও বাংলাদেশি।ভাই আর ভাবীর এখানেই দেখা।ভাই আমাকে সব বলেছে।
ভাবী আমার ব্যাগ ভিতরে নিয়ে গিয়ে আবার ফিরে এলো।এসেই আমাকে জড়িয়ে ধরলো।কবে কে আমাকে এরকম মমতা দিয়ে জড়িয়েছে আমি মনে করতে পারছি না।মনে হচ্ছে এবার হয়তো আমি একটা মাকে পেয়েছি।
বাচ্চারা যেমন মায়ের গায়ের গন্ধ নেয় আমিও ভাবীর গায়ে তেমন গন্ধ পেলাম।মা মা গন্ধ।
আমি নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ভাবীকে বললাম,,
-আমি কিন্তু তোমাকে খুব বিরক্ত করবো।আমার উপর রাগ করা যাবে না কিন্তু....!-ঠিক আছে বাবা। রাগ করবো না।তবে বেশি বাঁদড়ামি করলে কানমলা অবশ্যই দেব।
বলেই ভাই আর ভাবী হাসতে লাগলো।আমিও আর চুপ করে থাকি কি করে।এতোদিন পরে কিছু তো একটা পেয়েছি।যা আমি শক্ত করে ধরতে চাই।-চলো অপ্সরা ফ্রেশ হয়ে নেবে।তোমার রুম আমি সুন্দর করে সাজিয়েছি তবে তোমার পছন্দ হবে কি না বলতে পারছি না।
আমি যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই দেখলাম ঘরে আরও কেউ একজন আছে।সে ড্রয়িং এর সোফায় বসে মোবাইল দেখছে অথবা সেরকম কিছু একটা করছে।আমি না চাইতেও তার দিকে এগিয়ে গেলাম।
আমি শুধু তার পিছন দেখতে পাচ্ছিলাম।কারণ সোফার সামনের দিকটা ছিল অপর দিকে।মনে হচ্ছে খুব করে চিনি তাকে।
আমার হাঁটার শব্দে সে উঠে দাঁড়িয়ে পিছনে ফিরলো।কিন্তু আমি যাকে দেখলাম সেতো কেবল একটা স্বপ্ন।কিন্তু ঠিকই সে আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।সে তার একটা হাত আমার দিকে বাড়িয়ে বললো,,
-Aannyeonghaseyo...I am ...
YOU ARE READING
1.0 Sound Of His Heartbeat|JHS|Bangla FF✔️
Fanfiction❝J-Hope is my sunshine,,His heartbeat is the sweetest melody in the universe ❞ It's about my imagination with a little help of a drama which is my favourite..So only the concept is taken...And all the story is mine... I hope you will enjoy it... It...