৫.-- আপনি কে বলুন তো.....
"আমাকেই চিনছ না। আচ্ছা যাও চিনা লাগবে না। কালকে রায়হান ইন্ডাস্ট্রিজের যেই অফিসে এসেছিলেন সেই অফিসে আসবেন। ফিফটিন্থ ফ্লোরে গিয়ে ঐদিন যা বলেছিলেন সেটাই রিসেপশনিস্ট বলবেন। বুঝেছেন?" আমি হেসে বললাম।
ছোটদের মতোদের করে স্নিগ্ধা বললো, " কি দরকার?"
আমি আবার ফিক করে হেসে দিলাম।
তারপর বললাম, "তোমাকে।"
আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি স্নিগ্ধা লজ্জায় লাল হয়ে গেছে।
-- আমাকে দরকার কেনো?
-- সেকি আমার বউকে আমার দরকার হতে পারে না?
-- এহ.... বল্লেই হলো? আমি আপনার বউ? বিয়ে হয়েছে আমাদের?
-- হয়ে যাবে..... চিন্তা করো না।
-- ইস্.... বিয়ে যেনো মামা বাড়ির হাতের মোয়া যে বল্লেই হয়ে গেল।
-- বিয়েটা হতেই হবে, মিস সরি উইল বি মিসেস রায়হান ।
-- কেনো অন্য কোনো মেয়ে নাই বিয়ে করার জন্য?
-- আছে। কিন্তু আমার যে তোমাকেই চাই।
-- কেনো?
-- সব প্রশ্নের উত্তর হয় না, স্নিগ্ধা।
-- আমি যদি আপনাকে বিয়ে না করি?
-- তাহলে আর কিছু করার নেই। বলে আমি দীর্ঘশ্বাস ফেললাম।
-- ইয়ে হুইনা বাত.....
-- দেন আমি তোমাকে তুলে এনে বিয়ে করতে বাধ্য হবো।
-- এ্যা?
-- এ্যা নয় হ্যাঁ।
-- মানে কি?ওই, আপনি আমাকে জোর করে বিয়ে করবেন কেনো?
-- ওই যে বললাম আমার তোমাকে চাইই চাই।
ট্রিং ট্রিং....
আমি অফিসে ছিলাম। সো অফিসের ফোন বাজবে এটাই স্বাভাবিক।
-- স্নিগ্ধা, আমার ফোন আসছে। আমি রাখছি।
-- আচ্ছা। টাটা....
-- টাটা.... আসবা কিন্তু। আমি তোমার অপেক্ষায় থাকব।