৪.
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা বাজে। ধুর! এখনও আসছেন না কেন? আমি আর কতোক্ষন এভাবে সং সেজে থাকব?
" স্নিগ্ধা, এটা ধর। মেকআপটা মুছে আয়।" দেখলাম আনাফ ভাইয়া একটা জিনিস আমার হাতে ধরিয়ে দিল। দেখলাম মেকআপ রিমোভার দিয়েছে।
"কেনো?"
"সেটা পরে বুঝিস... আগে তুই মেকআপটা মুছে আয়।"
আমি লক্ষ্মী মেয়ের মতো মেকআপ মুছে ফেললাম।
আম্মু রান্না করছিল। কোথা থেকে আম্মু এসে চিল্লা চিল্লি শুরু করে দিলো।
"কিরে আনাফ তুই কি চাস? আমার মেয়ের বিয়ে না হোক?"
" ওকে আমি যোগ্য ছেলের হাতে তুলে দিতে চাই।"
" কিন্তু ওকে মেকআপ মুছে ফেলতে বললি কেনো?" মা নিজেকে শান্ত হয়ে বলল।
"আমি আবার নিজে ওকে সাজাবো।"
"তুই সাজাবি? তাহলেই হয়েছে.... "
" কি বলছ ছোট মা ? তোমার এই ছেলে তোমার মেয়েকে সাজাতে পারবে না?"
আম্মু হেসে বললো,"পারলে কর।"
আমাকে আনাফ ভাইয়া সাজালো। সাজানো বলতে চোখে কাজল। ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক। এই যা।
ছেলেপক্ষ আসলো সাড়ে সাতটায়। আমাকে রুমে ডাকতে আসলো পৌনে আটটায়। তাদের নাকি তাড়া আছে। আটটার দিকে চলে যাবেন।
Author's pov
স্নিগ্ধাকে বসার ঘরে নিয়ে যাওয়া হলো। সেখানে ছেলেপক্ষ বসা।
ছেলেকে দেখার পর স্নিগ্ধার চোখ কপালে উঠে গেলো।
" ও মা! এই ছেলে এখানে কেনো? এটা সেই মোবাইল চোর না? ধ্যাত.... মোবাইল চোর হবে কেনো? মোবাইল তো ফেরত দিয়ে দেয়েছে।" মনে মন বললো স্নিগ্ধা।
"বসো মা....." মুহুর্তের বাবা বললো।
"জ্বি....." স্নিগ্ধা লাজুক কণ্ঠে বলল।
মুহূর্ত মোবাইলে গেম খেলছিল। স্নিগ্ধা আসার পর কতোক্ষন তাকিয়ে থেকে একটা শয়তানি হাসি দিল।
স্নিগ্ধা মুহুর্তের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বললো,"এই ছেলে এভাবে হাসছে কেনো? শয়তনের মতো। আমার মাথায় রক্ত উঠে যাচ্ছে।"