বইয়ের নামঃ দিপালি
লেখকঃ অরিত্র দাস
ধরনঃ সমকালীন
রেটিংঃ 🌻🌻🌻🍃"চিঠিটি পড়ে তোমার মনটা খারাপ হয়ে যাবে আমি জানি। তাই তোমার বিমর্ষ হৃদয় উষ্ণ করে তুলতে একটি সত্য বলে দিই,পুরুষরা তার মায়ের যে স্বভাবগুলো অন্য নারীর মধ্যে খুঁজে পায় তাকে অধিক পছন্দ করতে শুরু করে। আমার মা ও তোমার মতো শুচিবাই ছিল। দিদির মুখে শুনেছি। কি,হাসি পাচ্ছে শুনে, তাই না? জানতাম হাসি পাবে। আমার ও পেয়েছিল যেদিন প্রথম প্রশ্ন এবং উত্তরের মুখে জানতে পারলাম তুমি খুব শুচিবাই একটি মেয়ে।"-- দিপালি,অরিত্র দাস
★সার সংক্ষেপঃ
----------------------
স্কুল, কলেজের গন্ডি পার হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্পণ করার সময় আমাদের সকলের মনের অনেক বেশি পরিবর্তন হয়। কিছু মানুষে আগেই হয়৷ কিছু মানুষের পরে। হুট করে তখন হাজার মানুষ এর ভীড়ে একজন কে অন্যতম মনে হয়। হাজার হাজার নারীর ভীড়ে চোখ দুটো শুধু একজনের কাছে আটকে যায়। কিন্তু ঐ মানুষ সামনে আসলে চোখ গুলো উপরে উঠতে চায় না। তার সব অবহেলা, অপমান মাথা নত করে গ্রহণ করতে মন চায়। শুধু একটা আশায় একদিন তার সুদৃষ্টি আমাদের দিকে পড়বে। কিন্তু তা কি আদৌ সবার ক্ষেত্রে হয়?'দিপালি' উপন্যাসটি এমন ই একটি সমকালীন উপন্যাস। যাতে আছে দিপালি নামে একজন সুন্দরী,ঠোঁটকাটা, রাগী বই পাগল, শিল্পী মেয়ে।রূপেগুণে অনন্য দিপালি, সাথে অনেক গুণী। সাথে আছে হেমেন্দ্র নামে একজন নম্র, ভদ্র, সাহিত্যমনা ছেলে। যার বুক ভালোবাসা দিয়ে ভর্তি। অতি সাধারণ,নিম্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে, বিভিন্ন বিষয়ে লিখালিখি করার শখ। আবার বলতে পারেন পেটের দায়ে আর সমাজের চিন্তায় লেখালেখি করে থাকে।
উপন্যাসটিতে দেখা যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এ প্রথম বর্ষে বাংলা বিভাগে পড়া দিপালির গুণে রূপে মুগ্ধ হয়ে ৩য় বর্ষে পড়া হেমেন্দ্র ভালোবাসার সাগরে ডুব দেওয়া। কিন্তু সে কখন ও দিপালিকে নিজের মুখে তার অনুভূতি বলে নি। তবুও দিপালির কাছে প্রতিনিয়ত সে অবহেলা আর অপমান পেয়েছে। হেমেন্দ্রকে দূরে সরানোর জন্য পদে পদে অপমান পেয়েও হেমেন্দর কখনও হার মানে নি। দু'বছর ধরে প্রতি রবিবার দিপালির জন্য মহুয়াতলায় কাঠের ডাকবাক্সে একটি করে চিঠি লিখে রাখে। ঐ ডাক বাক্সের নাম দেয়ঃ 'পত্রমিতালীঃপ্রযত্নে দিপালি'। কিন্তু দু বছরে রাখা একটা চিঠি ও দিপালি ছুঁয়ে দেখে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে হেমেন্দ্র যার সাথে কথা বলেছে মিশেছে, সে ই তাকে অনেক আপন করে নিয়েছি, নেয় নি শুধু দিপালি। দিপালি শুধু তাকে অবহেলা আর অপমান করার জন্য উঠে পড়ে লেগে থাকত। তবুও হেমেন্দ্র বিশ্বাস করত দিপালি একদিন তার দিকে সুদৃষ্টি দিবে, তার অপেক্ষার ফল দিবে। দিপালি কি শেষ পর্যন্ত হেমেন্দ্রর প্রতীক্ষার ফল তাকে দেয়?