ডাকাতি

19 0 1
                                    

বিভূতিভূষণ এর বামা টা পড়া চছিলাম, মনে পরে গেল মায়ের কথা. ঠিক গল্প বলা যাবে না, যদিও আমার কাছে গল্প ই. ঘটনা টা বোধহয় ষাট এর দশকের, দাদুর বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে খুব ঘটা করে. বাড়িতে প্রথম বিয়ে আবার সেই যুগের ডাক্তার বাড়ি. লোকে তখন ডাক্তার মানে ভগবান ভাবতো, তারা তখন সেবা প্রাণ দিয়ে করতো,আজকরে মতন পেশা হয়নি, যাই হোক আসল কথাই আসি...।...
     খুব জাঁকজমক এর সাথে বিয়ে হয় পাশের গ্রামে. মেয়ে অপরূপা, জামাই ও কম যাই না, দেখতে যেমন কাজ এ কম নয়. সেযুগে  সরকারি অফিসার. পোস্টিং ছিল অনেক দূরে.    এতো আজকের কথা নয়, বিয়ের কিছু দিন পর মেসো কাজের জায়গায় চলে গেলেন. মাসি  শশুর-শাশুড়ি, ননদ-দেওর নিয়ে সংসার করেন. ভালোই চলছিল, একদিন সন্ধ্যা এক উড়ো চিঠি এলো.'বাড়িতে রাতে ডাকাত পরবে, কাওকে জানালে পুঁতে দিয়ে আসবো'.
      পড়া শুনা শেখা মাসি, মনে সাহস সাংঘাতিক কাওকে কিছুই বললো না, হয়তো সত্যিই কিছু হবে ভাবতে পারেনি.
গ্রামে  তখন ইলেকট্রিক এর আলো পোই ছাই নি. কিছুটা তাড়াতাড়ি খেয়ে,সবাই শুয়ে পরতো.
    এমন টা ই হলো, মাঝরাতে ঘরের দরজায় করা নাড়ছে কেও. জানলা দিয়ে দেখা যাচ্ছে উঠোন এ অসংখ্য মশাল জ্বলছে, লাল কাপড় এ মুখ ঢাকা কত মানুষ.   শাশুড়ি বুঝতে পেরেছিলেন... অগত্যা দরজা খুলে দেওয়া হয়.

       অদ্ভুত, তাদের মধ্যে ও সভ্ভতা ছিল. ঘরের কারুর কিছু করে নি. শুধু এসে ছিল সব জিনিস লুটতে. গয়না, বাসন, ভালো জামা কাপড় সব নিয়ে গেসলো.
      সব শেষ গুটিয়ে যখন তারা চলে যাই, ভো রের আলো ফুট ছে.
        সকাল হতেই সবাই জানতে পারলো, দাদুর কাছে ও খবর গেল.থানা-পুলিশ ঠিক কি হয়ে ছিল জানা নেই.
      সময় পেরিয়ে যাই, পেছনে থাকে কত স্মৃতি কিছু আবার কখনো মনে পরে, তার সাথে থাকে কত মানুষ এর জীবন এ এগিয়ে যাবার ঘটনা. ভালো-মন্দ নিয়ে জীবন আর তার সাথে হয়তো ভালো ভাবে বেঁচে থাকার লড়াই.

Poems~•Where stories live. Discover now