পর্ব ৪

6 1 0
                                    

- হাসব্যান্ড 
- কি বললে? আবার বলো ?
- কানে কি কম শুনেন সোজা কথাই তো  বললাম -_-
- শুনো মেয়ে নুতুন বলে বেচে গেলে । না হয় একটা দিতাম 

- ও তাই সুমি ? তা তুমি কিসের অধিকারে   ওকে একটা দিতে ?
পিছন থেকে পুরুষালি কণ্ঠে কথাটি বলে উঠে তেই । দেখে মনে হচ্ছে কেউ ওকে করলার রস বিনা অনুমতিতে খাইয়ে দিয়েছে । মায়শার বেস হাসি পেল তেই এর এমন মুখ দেখে ।
কি হলো সুমি বললে না যে ?

সুমি মনে হয় এই কথা গুলো  শুনে বেশ বিব্রত হলো । মনে হচ্ছে সে এইখানে তেই কে একদম আসা করে নি । তাও সুমি বলে উঠলো 

_ বাহ বাহ তুমি আজ ক্যাম্পাসে ? তুমি তো সহজে এই দিকে আস না ?
তেই মায়শা কে একটি বেগ হাতে দিতে বলল 
- তুমি কি শুনো নি সে আমার কী হয় ? আমার বউ , আমার বেগম জান তার বেগ নিতে ভুলে গিয়েছিল সেটাই দিতে আসলাম। নিন  বেগম জান   

বলে হাতে ব্যাগ ধরিয়ে দিয়ে চলে যায়। মায়শা আইবার বলে ওঠে

- শুনলেন আপু, এবার আমি যাই।

কলেজ শেষে মাইশা আর তেই একসাথে বাসায়  উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
-তো আজ কেমন কাটলো আমার বেগম জান.
-যাহ তুমি কি যে বলো না।
- কি বললাম তুমি তো বললে আমি তোমার হাজব্যান্ড। তাইতো আমি তোমার বেগম জান বললাম। আপনি খুশি হননি বেগম জান।

- যাহ তেই
তেই হাসতে থাকে। একসময় তারা বড় সড়কে এসে পড়ে। পাশে একটা পার্ক। এখানে অনেক বাচ্চারা খেলাধুলা করছে। অনেক দম্পতি বা কপটপট্টি   হাঁটতে এসেছে। দেই আর মাইসা ও পার্কের ভিতর হাঁটতে যায়। ওরা একটি বেঞ্চে বসে কিছুক্ষণ গল্প করে হঠাৎই মাইশা খেয়াল করে  একটি বাচ্চার রাস্তার দিকে চলে গিয়েছে আর অপর পাশ থেকে একটি দ্রুতগামী ট্রাক আসছে মায়শা চিৎকার করে  উঠে।

- আরে বাচ্চাটা কি কেউ ধরো রাস্তায় চলে যাচ্ছে
- কি হয়েছে মাইশা
- এই বাচ্চাটা রাস্তায় চলে গেল ধরো ওকে
- তুমি পেনিক হয়েও না দেখছি তুমি এখানে বসো

ভাবতেই বাচ্চাটাকে ধরতে যায় মায়শা ও পিছু পিছু যায়।

তেই বাচ্চাটাকে বাঁচাতে পারলেও নিজে আর বাঁচতে পারল না অপর পাশের ট্রাকটা এসে তেই কে সজোরে ধাক্কা দিল। মাইশা জোরে চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে গেল রাস্তা পুরো রক্তে ভিজে গেল এরপরে মাইসার আর কিছু মনে নেই 

স্রোতস্বিনী Where stories live. Discover now