পর্ব -৩

13 2 0
                                    

- বিয়ে? 
- হ্যা বিয়ে 😑
- মানে কি? 
- এই মায়শা তুমি কি বাংলা বুঝো না?  আমি তো বাংলায় বল্লাম নাকি, কোরিয়ান 😑
- আমি সেটা বলি নি 🙂
- তো কি বলতে চেয়েছো? 
- আমি বলতে চায়ছি কার বিয়ে, কার সাথে, কখন কিভা....

আমি মায়শার ঠোঁট আঙুল রেখে বললাম
- ঘুমাও এবার।
- কিন্তু
- উহু কোনো কিন্তু না। ঘুমাও এবার আসি আমি।
বলেই কপালেই উষ্ঠদ্বয় ছুয়িয়ে চলে এলাম নিজ রুমে। দরজা আটকে দরজার সাথে পিঠ ঠেকিয়ে বসে আছি আমি। কি করবো আমি?  মায়শা কে আমি ছোট অর্থ্যাৎ বাংলাদেশ থেকে থেকে ভালোবেসে আসছি।
ও জানে আমি সুস্থ স্বাভাবিক আছি তবে ও তো জানেনা, আমার আসলে...
আমি কি ভাবে বলবো? পারবো না আমি ওকে বলে তার চেয়ে বরং আমি দূরে চলে যাই।  হ্যা এটাই ঠিক হবে।

পরের দিন সকালে,

- নামজুন ভাই, বলো না দুদিন পর কার বিয়ে?  প্লিজ বলোনা।
- মায়শা, কি যাতা বলছিস, অন্য কাওকে জিজ্ঞেস কর গিয়ে বলতে পারবো না।
বলেই নামজুন জায়গা টা ত্যাগ করলো। অপর দিকে,  মায়শা ভাবে, " যাহ বাবা কি হলো এটা?  ভাইয়া কি লজ্জা পেল? কিন্তু কেনো 😐" এমন সময় অয়ন মায়শা কে ডেকে বললো
- আপি? 
- হুম?  তুমি কলেজ যাবে না? 
- হুম যাবো তো....

" মা নাস্তা দাও কলেজ যাবো " হাতে ঘড়ি পড়তে পড়তে নিচে নামছে তেই।

হালকা আকাশী রং এর সার্ট, কালো পেন্ট, এক কাধে ব্যাগ, চোখে চিকন ফ্রেমের চশমা, আর হাতে রাখা সাদা এপ্রোন ( তোমরা তোমাদের শখের পুরুষ কে কল্পনা করে নাও। আমার ডিটেইলস বলতে লজ্জা লাগে 🐸) বেশ মানিয়েছে। আচ্ছা ছেলেদের সুন্দর হতে কে বলেছে?  যেখানে আমি শ্যামবর্ণের?  আমি এসবই ভাবছি তখন ই কেউ আমার সামনে তুড়ি বাজায়।

- কোন ধ্যানে আছেন আপু আপনি? 
- আপু?  আমি? 
নিজের দিকে আঙ্গুল তাক করে বলে মায়শা।

- আজ্ঞে জি  আপু 🤧 দয়া করে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে আসুন আমার দেরি হচ্ছে আপু।
- না মানে তেই আপনি কি সুস্থ আছেন? 
- হ্যা অবশ্যই। কোনো সন্দেহো?
- নাহ,  কী আর বলবো ভাইয়া,  বুঝলেন ভাইয়া  আমি যে কলেজ পড়ি ভাইয়া ঐ কলেজে আমার প্রিয়তম পড়ে ভাইয়া। ভাইয়া সে বলছিল আমায় নিয়ে যাবে ভাইয়া। বুঝলেন ভা...

- হয়েছে থামো 🙂 আমার ভুল হয়েছে আমি আর আপু বলবো না। তো আপনি রেডি তো শেহেজাদী? 
- জি জাহাপনা চলুন।
ওরা এমন টুক টাক কথা বলতে বলতে বাড়ি থেকে বের হয়। তেই যখনই গাড়ি বের করতে চায় মায়শা বাধা দেয় আর বলে, 
- তেই চলো আজ হেটে যাই? 
- মায়শা কি বলো এসব তুমি আসলেই ঠিক আছো তো? 
তেই মায়শার মাথায় হাত রেখে কথা গুলো বলে।

- উফ!  কিছু হয় নি। চলো যাই
- প্রথম দিন হেটে যাবে? 
- ভুলে যেও না আমি বাংলার মেয়ে আমি গাড়ি থেকে হাটাটা বেশি প্রফার করি।
- ও আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম।
বলে তেই ফিক করে হেঁসে ফেলে সাথে মায়শা ও। এর তারা হেটেই রওনা হয় কলেজের উদ্দেশে।

কলেজে গাড়ি করে গেলে সময় লাগে ৩০ সেখানে হেটে যেতে লাগে ৫০ মিনিট। হেটে যাওয়ার পথে কলেজ আগে বাসে উঠতে হয় নয়তো বা আর সময় লাগে। তেই আর মায়শা বাসে দুজন পাশাপাশি বসেছে। মায়শা এটা সেটা জিজ্ঞেস করছে তেই সেটার উত্তর দিছে। এর মাঝে বাস এসে থামে গন্তব্যে। এখান থেকে আবার হেটে দশ মিনিট এর রাস্তা৷ ওরা রাস্তায় খুনশুটি করতে করতে যাচ্ছিল এতে কে কি মনে করলো তেই বা মায়শার কোনো সমস্যা নেই। অবশ্য বাংলাদেশে থাকলে অনেকে অনেক কটু কথাই নলতো।

- আচ্ছা কলেজ এর পর এখানে থেকো না হয় পাশের মেইন ভবনে ১২ তালায় ১০২ নং কেবিন টা আমার ঐখানে চলে এসো কেমন? 

- আচ্ছা। ঠিক মতো ক্লাস করো। তুমি এখনো তেমন সুস্থ হও নি।
- চিন্তা করবেন না মেম আমি একদম ফিট আছি। এখন আসি।
- হুম

এর পর দুজন দুই গন্তব্যে যায়।

- এই মেয়ে তুমি মি,কিম এর কি হোও? 
মায়সা সবে মাত্র ক্লাসে প্রবেশ করে তার আসন করলো এর মধ্যে একটা মেয়ে এসে মায়শাকে এসব জিজ্ঞেস করছে। মেয়েটা দেখতে বেশ মিষ্টি, সবুজ চোখ জোড়া দেখলে যে কেউই মায়ায় পড়তে বাধ্য। আচ্ছা এটা কি আসল চোখের রং নাকি লেন্স পড়েছে?  পড়তেই পারে কোরিয়াতে তো মানুষ সুন্দর দেখার জন্য কতো কি করে। মেয়েটি আবার বলে উঠলো

- ও হেলো?  কানে শুনো না নাকি?  কি হয় মি.কিম তোমার।
"হাসবেন্ড "

দুঃখীত 😅💔
অনেক দেরি করে ফেল্লাম তাই না? 
রিচেক দেয়া হয়নি।
কেমন লাগলো অবশ্যই বলবে
কেমন 🤭

স্রোতস্বিনী Where stories live. Discover now