নৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয় কমাতে করণীয়

17 3 0
                                    

মন্ময় প্রবন্ধ :
নৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয় কমাতে করণীয়

সমাজে এত নৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ কী? কয়েক দশক আগেও তো এমন ছিলো না! দিন দিন কেন অবস্থার অবনতি হচ্ছে?

অবক্ষয়ের অন্যতম প্রধান ও সৃষ্ট প্রথম কারণ হলো :
আকাশ সংস্কৃতি, সেই মন্দ সংস্কৃতি যা ইন্টারনেট, স্যাটেলাইট চ্যানেলের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে এদেশে সংস্কৃতিতে প্রবেশ করেছে।
এই কথা শোনার পর, একদল লোক লাফিয়ে উঠে বলবে : তাহলে আকাশ সংস্কৃতি বন্ধ করা হোক।

অবশ্যই, আকাশ সংস্কৃতি রুখতে আমাদের কার্যকর পদক্ষেপ নিতেই হবে। আপনাদের কাছে কী করণীয় বলে মনে হয়?

তারা বলবে : ইন্টারনেট, স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলো বন্ধ করে দেয়া হোক! ...

এবার, আরেক দল লোক এই পদ্ধতির প্রতিবাদ করে বলবেন : এটা কেমন কথা! ইন্টারনেট, স্যাটেলাইট চ্যানেল– এগুলো শুধু যে আপত্তিকর সংস্কৃতি এনেছে তেমনটা তো নয়, এর সাথে অসংখ্য ভালো তথ্যও বিশ্বের অন্য দেশ থেকে এদেশের মানুষের কাছে পৌঁছেছে।

আমি দ্বিতীয় দলের সাথে এই কথায় গলা মিলিয়ে বলব :
হ্যাঁ, এই বিশ্বায়নের যুগে ভালো-খারাপ দ্রুত ছড়িয়ে পড়বই; এর মাঝ থেকে আমাদেরকে সচেতন হয়ে ভালো দিকগুলো নিয়ে নিতে হবে, আর খারাপ দিকগুলো বর্জন করতে হবে। নিজের বিবেককে আমরা ছাকনি হিসেবে ব্যবহার করবো। তা না করতে পারলে, প্রথম দলের মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলে ব্যাপারটা এমন হবে যে— ‘মাথায় ব্যথা, তাই মাথাই কেটে ফেললাম’– এরকম হাস্যকর ও নির্বোধের মতো কর্ম করা। মুসলিম মনীষী হযরত জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমি (রহ.) বলেছেন :
‘‘ধ্বংসাবশেষের মধ্যে গুপ্তধনের অনুসন্ধান করুন।’’

এখন, সেই প্রথম দলের কিছু তথাকথিত জ্ঞানী ব্যক্তি প্রমথ চৌধুরীর একটি উক্তি টেনে বলবেন, ‘ব্যাধিই সংক্রামক, স্বাস্থ্য নয়’ বা এই ধরনের অন্যান্য কথাবার্তা।

তখন আপনারা, মানে পাঠকবৃন্দ উত্তর দিয়ে দিবেন : আলোর কাছে এসে আলোকিত হওয়া যায়, আবার ভুল করে অন্ধকারে হারিয়ে গেলেও বহুদূর থেকে আলো দেখে আলোর দিকে ফিরে আসা যায়। সম্পূর্ণটাই নির্ভর করছে ব্যক্তির ইচ্ছার ওপর।

Articles Written by Rumi MahmudWhere stories live. Discover now