Eric: Chapter 1

10 0 0
                                    

একটি ছেলে রেল লাইনের পাশে বেঞ্চের উপর বসে। তার গায়ে কালো রঙের পোশাক। মুখে কালো মাস্ক পড়া। এবং তার মাথাতে একটি কালো টুপি।
রেল লাইনের পাশের রাস্তাতে গাড়ি যাতায়াত করছে।
ছেলেটি মনে মনে নানান কিছু ভাবছে। যদিও তার ভাবনা তাকে তার মনের মধ্যের নানান প্যাচে মধ্যে লিপ্ত করছে।
সে ভাবনার রাজ্যের মধ্যে হতে হটাৎ জাগ্রত হয়ে দেখে আসে পাশে মানুষ রাস্তার একদিকে ছুটে যাচ্ছে।
কি হয়েছে? কেনো তারা রাস্তার দিকে ওই ভাবে ছুটে যাচ্ছে?
ছেলেটির এ বিষয়ে কোনো আগ্রহ নেই। হটাৎ সে মানুষেদের বলা- বলি থেকে জানতে পারলো রাস্তার উপর দুর্ঘটনা হয়েছে। একটি মটোর সাইকেলের সাথে ট্রাকের ধাক্কা লেগে, মটোর সাইকেল চালক গুরুতর আঘাত পায়। প্রাণ বাঁচবে কিনা তাতে সন্দেহ হয়।
মানুষর মধ্যে এ নিয়ে অনেক আতঙ্ক বিরাজ করলেও, ছেলেটিকে দেখে মনে হচ্ছে যে এ ঘটনা নিয়ে তার কোনো মাথাব্যথা নেই। এসব ঘটনা স্বাভাবিক। বেশ কিছুক্ষণ ওই দিকে তাকিয়ে থেকে সে সেখান থেকে চলে গেলো।
...........

এটি একটি বড় ফুলের বাগান, পার্কও বলা যেতে পারে ।
আসে পাশে অনেক ফুল গাছে যাতে অনেক ফুল ফুটে আছে। পাখিদের সুরেলা কণ্ঠের গান শোনা যাচ্ছে। রঙিন প্রজাপতিরা উড়াউড়ি করছে ফুলে ফুলে, এখানে সেখানে।
বাগানের মধ্যে বেশ কিছু মানুষকে দেখা যাচ্ছে।

কেউ কেউ তাদের প্রিয়জনকে নিয়ে বাগানে ফুলের সৌন্দর্য, প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছে।
কেউ এসেছ তাদের প্রিয় ছোট্ট পরীটিকে নিয়ে ( ছোট্ট বাচ্চা) ।
বাগানের মধ্যে একটি ছাউনী ঘেরা বসার জায়গাতে একটি মেয়ে বসে। তাকে দেখে মনে হচ্ছে, সে কারোর জন্য অপেক্ষা করছে।
সে ফোনেও তাকে কল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু কল রিসিভ না করায় সে একটু চিন্তায় পড়ে যায়।
" কি ব্যাপার, ও কল রিসিভ করছে না কেনো? সে আবার হারিয়ে গেলো নাকি?"

সে চেয়ারের উপর থেকে উঠে ব্যাগ ও ফোনটি হাতে নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে এলো।
বাগানের আসে পাশে লক্ষ্য করে দেখতে লাগলো।
বেশকিছু দূর হাঁটাহাঁটি করে। হটাৎ আশ্চর্যিত হয়ে থেমে যায়।
একটি মেয়ে পলাশফুল গাছের নিচে বসে একটি কুকুরের সাথে খেলা করছে।
সে মেয়েটির দিকে এগিয়ে গিয়ে জিসা বলে ডাকতেই মেয়েটি পেছন দিকে ফিরে তাকালো।
তার মুখে অপুর্ব সুন্দর মিষ্টি হাসি।
মেয়েটি সেখান থেকে উঠে দাঁড়াল।

" তুমি কি জানো আমি তোমার জন্যে কখন থেকে অপেক্ষা করছি? তোমার পুরনো অভ্যাস এখনও যায়নি!! "
জিসা মাথা নাড়িয়ে না উত্তর দেয়।
যাইহোক, মেয়েটি আর কথা না বাড়িয়ে জিসার সাথে কোলাকুলি করে।
উভয়েই ভীষণ খুশী।
" প্রায় পাঁচ বছর পর তোমাকে সরাসরি দেখছি। আমি যে কি খুশী তা বলে বোঝানো সম্ভব না। "
" আমিও।"
একে অপরকে আলিঙ্গন করে তারা গাছটির নিচেই বসল।
ছোট্ট কুকুরের বাচ্চাটি তাদের দুজনের সামনে বসে রইলো। যদিও কুকুরটি তাদের এই প্রথম দেখছে কিন্তু তা দেখে তেমন মনে হচ্ছে না।
তারা দুজন তাদের অনেক দিনের জমানো কথা ভাগাভাগি করতে লাগে।
.....
.......
আনন্দিতা নামক সুন্দরী মেয়েটি প্রায় পাঁচ বছর আগে তার দাদির মৃত্যুর পরে , এ দেশ থেকে অন্য দেশে তার পরিবারের কাছে চলে যায়। মাত্র কয়েক দিন আগে সে এ দেশে ফিরে এসেছে। আর আজই এ শহরে এসেছে।
ছোট থেকেই সে একজন হাসি খুশি প্রকৃতির মেয়ে। এজন্য ছোট কালে তার স্কুলে শিক্ষক থেকে সহপাঠিরা অধিকাংশই তাকে অনেক পছন্দ করত।
আর তার বান্ধবী অপরাজিতা। তাকে সংক্ষেপে জিতা বলে ডাকা হয়।
সে তার ছোট্টকালের বান্ধবী। তারা একই সঙ্গে পড়াশোনা করতো।
.....
.......
.....

একটি অন্ধকার ঘরে মধ্যে মেঝের উপর কেউ একজন বসে।
কে বসে তা স্পষ্ট বোঝা না গেলেও অনুমান করা যায় কেউ একজন বসে।
শুধু বসেই নয়। করুন আর্তনাদ শুনা যাচ্ছে।
কে সে? কে? কেনো কাদঁছে এমন করে?
কিসের এমন কষ্ট তার?????

আনন্দিতা ও জিতা রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে জিতাদের বাড়ির উদ্দশ্যে বেরিয়ে পড়লো।
তারা দুজনেই অনেক খুশি। অনেক খুশি!!

জিতার বাড়িতে....
জিতার ফুফু আনন্দিতাকে দেখে অনেক খুশি হয়।
" অনেক বছর পরে আমার মেয়ে ফিরে এসেছে!!"
জিতার ফুফুর বিড়ালও আনন্দিতার দিকে এগিয়ে আসে। এত বছরেও সে আনন্দিতাকে ভুলিনি।
আনন্দিতা তাকে কোলে তুলে নিলে তার সুরেল কণ্ঠের ডাক স্থির হয় । 🤭

You've reached the end of published parts.

⏰ Last updated: Mar 02 ⏰

Add this story to your Library to get notified about new parts!

Eric Where stories live. Discover now