সুহাসিনী

Від LifeWonderer

212 24 4

ভাইয়ের খুনের প্রতিশোধের আগুনে জ্বলতে থাকা এক বোনের গল্প... Більше

পর্ব ১
পর্ব ২
পর্ব ৩
পর্ব ৪
পর্ব ৫
পর্ব ৬
পর্ব ৭
পর্ব ৮
পর্ব ১০
পর্ব ১১
পর্ব ১২
পর্ব ১৩
পর্ব ১৪
পর্ব ১৫

পর্ব ৯

4 1 0
Від LifeWonderer

"সায়কা, ও আমার জান সায়কা, তুই বিশ্বাস করবি না! এই মাত্র পরী পৃথিবীতে এসেছে। উফফ, আমার যে কি ভালো লাগছে তোকে বলে বোঝাতে পারবো না! একটু আগে খবর পেলাম পরীর জন্মের কথা। আমাকে এনে তারা দেখাবে বলেছে কিন্তু এখন‌ও দেখতে পাই নি। তোর ভাবিও ভালোই আছে শুনলাম। আমরা আবার একসাথে নেই তো তাই পাকাপুক্ত খবর দিতে পারছি না কিন্তু তারা বলেছে যে পরীর ডেলিভারী পর্যন্ত তারা প্রিয়ার অনেক খেয়াল রাখবে তাই আমি সেদিকে নিশ্চিত। যারাই এখানে আছে এতটা পাষাণ হতে পারে না যে একজন নবজাতক আর তার মাকে কষ্ট দিবে। যাক গে, ওর নাম কিন্তু পরীই হবে। তোর সাথে আমি এই নিয়ে আর কোন ঝগড়া করতে পারবো না। পরীকে আমি দেখতে পারবো কিনা জানি না কিন্তু বোন আমার, প্রিয়া আমার জান তাই পরী নামটাই থাকুক। রাগ করিস না ভাইয়ের উপর! আর শোন না, তুই কবে যেন বাড়ি ফিরবি? এইখানে থাকতে থাকতে সময়ের হিসেব ভুলে গিয়েছি। শুধু জানি ছয় মাস হয়েছে, পরী এসেছে তো তাই সেই অনুমাণে। তা ছাড়া সূর্যের আলোটা পর্যন্ত দেখার ভাগ্য হয় না। যাই হোক, কি সব নিয়ে কথা বলছি! তুই পরীকে আগলে রাখিস বোন। চিন্তা করিস না, আমি শীঘ্র‌ই চলে আসবো। পরীর জন্য বুঝেছিস এরকম আরো হাজারটা ক্যাসেট তৈরী করেছি এই ছয় মাস বসে বসে। দেখিস, তুই যখন পরীর সামনে আসবি সে ঠিক তোকে চিনে ফেলবে। আর না চিনলে তো আমি আছিই। আচ্ছা বোন, আমার কথা মন দিয়ে শোন এবার। আমার যেতে হবে রে, সময় শেষ হয়ে এসেছে আর আরেকটা কথা হলো, বাবাকে বলবি না। আমি শুধু তোকেই জানাচ্ছি। আমি মনে হয় না আর বেঁচে ফিরতে পারবো কারণ আমার প্রাণের বিনিময়েই আমি তাদের কাছে প্রিয়া, পরী আর এই রেকর্ডিং এর অনুমতি পেয়েছি। তাই জীবনে যাই করে থাকি, এই ভাইয়ের জন্য মনে কোন কষ্ট রাখিস না। ভালো ভাবে পড়াশোনা করে দেশের নাম উজ্জ্বল করবি। নিজের ও পরিবারের সবাইকে দেখে রাখবি। ভাইয়ের পরে কিন্তু তুইই একমাত্র ভরসা। ওই সিয়ারাকে তো তুই চিনিস‌ই! এত্ত আবেগী, ওকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না। তোর বড়টা শুধু সংসার‌ই করতে পারবে। আহহহ! দাঁড়া ... হিহি, ভয় পাস না। হাতের শেকলে টান খেয়ে কাঁটা জায়গায় লেগে গেল একটু। চিন্তা করিস না, অভ্যাস আছে আমার। তোর‌ও হবে একদিন। জানিস, তোর সাথে এই কথা একদম শেষ করতে ইচ্ছে করছে না, তোকে ছাড়তেই মন চাচ্ছে না। আর হ্যা, শোন। পরীর ক্যাসেটগুলো তুইও সময় পেলে শুনিস একটু। পারলে তুই ফেরার পর পরী আর তোর ভাবিকে নিয়ে একসাথে শুনিস সব আবার। ওহ হ্যা, আরেকটা কথা, তোর ভাবির দিকে খেয়াল রাখিস। আমাকে ছাড়া কিচ্ছু বোঝে না তো তুই জানিস। এখন নিশ্চয় পরীর জীবন নিজের জীবন বানিয়ে ফেলবে। তুই শুধু দেখিস ও নিজের দিকে খেয়াল রাখছে কিনা। বড্ড জেদী একটা মেয়ে! পিরিয়ড হলে আমি খাইয়ে না দিলে রাতে খেতোই না সে! তোকে নতুন করে বলার আর কি আছে। এরকম কত শত ক্যাসেট দিয়ে তোর ভাই তোর মাথা এমনি অনেক নষ্ট করে দিয়েছে। এইটা তোর কাছে আমার শেষ ক্যাসেট, এরপর দেখা হবে পরকালে। ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা করবি তো? তোর জন্য কিন্তু একটা উপহার আছে বাড়ি ফিরলে। না না, তুই যত‌ই বলিস আমি এখন বলছি না। এই উপহারের টানে হলেও তুই জল্দি বাড়ি ফিরে আয় সোনা। সায়রা, আমি কিন্তু কিছু একটা টের পাচ্ছি। এই পাগলী, কাঁদছিস তুই? জানতাম আমি! কাঁদছিস কেন? হ্যা? আমি তো শহিদ হবো। দেশের জন্য প্রাণ দিচ্ছি, এর চেয়ে গর্বের আর কিছু হতে পারে বল? বুঝবি, দেশের মায়া তুইও একদিন বুঝবি কিন্তু আমার মত তুই কাউকে ছেড়ে যাবি না। কথা দে আমাকে? কথা দে বাবা আর মায়ের চোখে কখনো পানি আসতে দিবি না। কি? পারবি না ভাইয়ের এইটুকু কথা রাখতে? পারবি না তোর ভাইয়ের শেষ স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে? ভালো থাকিস বোন। এই ভাই সবসময় তোকে অনেক ভালোবেসেছে, কিন্তু প্রিয়া থেকে বেশি না। হাহা।"

ভাইয়ার হাসির শব্দে চারিদিক মুখোরিত হয়ে আওয়াজ বন্ধ হয়ে গেল। আমি চুপচাপ নির্বিকার বসে র‌ইলাম। কি বললো এসব সে? কিসের কি? ফিরে আসতে পারবে না! সবাইকে দেখে রাখতে হবে! এভাবে ক্যাসেটের মাধ্যমেই কি সব বললে হয়ে যায় নাকি? আর সে বললেই আমাকে সব মেনে নিতে হবে? আমার মতামত, আমার আবেগ, আমার কোনকিছুর মূল্য নেই নাকি! এভাবে বললো আর সব হয়ে গেল?
ক্যাসেটের দিকে তাকিয়ে ভাইয়াকে দেখার চেষ্টা করলাম। "নিশ্চয় অনেক শুকিয়ে গিয়েছিস তুই। হাতে পায়ে তোর কত দাগ পরেছে রে ভাইয়া, ব্যথা হয় না তোর? এই শেকল, কিভাবে থাকছিস তুই? তোকে খেতে দিচ্ছে তো ঠিক মত? নাকি সূর্যের আলোর মতো পেটে খাবার‌ও ঠিক মত পরছে না? ভাইয়া, এসব তো কথা ছিল না। তুই বললি ভাবির দিকে খেয়াল রাখতে কিন্তু ক‌ই? ভাবিকে তো ওরা দিলোই না আমাদেরকে ভাইয়া! তোর সাথে ভাবিকেও... তবে হ্যা, পরী এইতো আমার কাছে আমার পাশেই আছে। কক্ষণো একা ছাড়বো না ওকে। মাফ করে দে ভাইয়া, আমার আসতে সময় লেগে গিয়েছে অনেকটা কিন্তু এখন আমি চলে এসেছি। তোকে কথা দিচ্ছি ভাইয়া আমি এখন কাউকে কিচ্ছু হতে দিবো না। কিন্তু ভাইয়া, তোকে যে ফিরে আসতেই হবে। আমি একা কি করে পারবো সব? আমি কখনো না পারলে আমাকে কে সাহায্য করবে? আমার ভুল কে সুধরে দিবে? মা তো আমাকে অনেক বকবে কিন্তু তুই তো আমাকে বুঝিয়ে দিয়ে ঠিক কাজটা করাতে পারবি। এখন এসব কে করবে? আর আমি পরীকে একা কিভাবে সামলাবো? তোর কি মাথা ঠিক আছে? দেখ ভাইয়া, আমি অত কথা শুনতে পারবো না। বেশি ফাজলামো না পরে ভাবিকে নিয়ে জল্দি ফিরে আয়। আমাকে যেতে হবে কিছুদিনের মধ্যেই। তুই তাড়াতাড়ি এসে আমার কোয়ার্টার ঠিক করে দিয়ে যা আর পরীকে নিজ দায়িত্বে রাখ নিজের কাছে। এভাবে বলেই নিজের দায়িত্ব থেকে পার পাবি নাকি তুই? দেশের জন্য মায়া আছে, নিজের মেয়ের জন্য মায়া নেই? তুই কি মানুষ রে ভাইয়া নাকি মায়া মমতা ভালোবাসা সব কিছু দেশের নাম করে দিয়েছিস? ভাইয়া, কথা বল। কথা বল আমার সাথে। এভাবে আর কতকাল চুপ করে থাকবি? আর কত এভাবে আমার কথা শুনে যাবি? এবার তো উত্তর দে!"
"সায়কা, আপনি ঠিক আছেন?"
অচেনা এক কণ্ঠে আমি মাথা তুলে তাকালাম। বাল্বের আলো তার পেছন থেকে আসায় তার চেহারাটা ঠিক মত বুঝতে পারলাম না। কিন্তু ভাইয়া, ভাইয়া কোথায়? এই তো এখানেই ছিল সে! আমি তো কথা বলছিলাম‌ই, হঠাৎ কোথায় চলে গেল সে? আবার আমাকে একা রেখে চলে গেল?
চারপাশের আর কোন কিছুর খেয়াল হলো না। ভাইয়া আমাকে ছেড়ে, আমাকে একা রেখে চলে গেছে। এইসব ভেবে, এই কষ্ট বুকে পুষে নিয়ে আমি হারিয়ে যেতে চাইলাম। এই জীবনের আর কোন অর্থ নেই। এভাবে একা ভাইয়াকে ছাড়া জীবন পার করা আমার পক্ষে সম্ভব না। একা একা এত কিছু আমি সামলাতে পারবো না। তার কোন কথাই আমি শুনতে পারবো না। এই গভীর অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়াটাই আমার একমাত্র উপায়, না হলে আমি বেঁচে থেকেও মৃত হয়েই জীবিত থাকবো। ধীরে ধীরে গাড়ো কালো স্তরটা আমাকে ঘিরে ধরলো। আমি মুচকি হেসে দিলাম। ভাইয়া, তোর কাছে আমি আসছি। তোর বোন, তোর সায়কা তোর কাছেই আসছে। তুই প্রস্তুত থাকিস।

মাথায় ধরাম ধরাম শব্দ শুনতে পেয়ে একটু চেতনা আসলো আমার। কানের উপর থেকে শুরু করে নাকের ডগা পর্যন্ত মারাত্মক ব্যথা করছে। এই ব্যথার কারণে কোনকিছু ভাবতে পারছি না। চোখ খোলার চেষ্টা করেও চোখ খুলতে পারলাম না। তাকাতে গেলেই মাথায় তীব্র ব্যথার অনুভূতি হয়। শরীরটাও যেন নাড়াতে পারছি না। হাত দিয়ে পাশে থেকে মোবাইলটা নেওয়ার বৃথা চেষ্টা কিছুক্ষণ করার পর এক প্রকার জোড় করেই চোখ মেলে তাকালাম। আলোর ঝলক হঠাৎ চোখের সাথে বারি খেলো আর সাদা সিলিং চোখে ভেসে উঠলো কিন্তু সেই তীব্র ব্যথা তো আছেই। কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে আবার তাকালাম আলোর সাথে অভ্যস্ত হয়ে উঠার জন্য আর তারপর চারপাশে তাকালাম।
নিজের অজান্তেই বুকটা কেঁপে উঠলো। এটা তো আমার ঘর না, কোথায় আছি আমি এখন? কিভাবে আসলাম? আমার কি হয়েছিল? আর আমি এভাবে শুয়েই বা আছি কেন?
"উঠলেন তাহলে আপনি?"
পাশ থেকে পুরুষালী কণ্ঠ শুনে আমি উঠে বসলাম।
"আরেহ আরেহ, শুয়ে থাকুন। আপনি এখন‌ও যথেষ্ট দুর্বল।"
নাদিম আমার পাশে একটা নাশতার ট্রে রেখে সামনে থেকে চেয়ার টেনে বসলো‌। আমি অবাক চোখে বিষ নিয়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকলাম। আমার ধারণাটা যদি সত্যি হয় তাহলে আজকে তার রেহাই নেই।
"কাপকেক পছন্দ করেন তো আপনি? কয়েকদিন ধরে বানানোর চেষ্টা করছি। এতদিন নিজে খেয়েছি, আজকে আপনাকে প্রথম খাওয়াচ্ছি। খেয়ে বলবেন কেমন লাগলো? ফিডব্যাক পেলে পরের বার ভুলগুলো সুধরাতে পারবো।"
আমার দিকে কাপকেকের বাটি এগিয়ে দিয়ে মুখে একটা হাসি ঝুলিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো। আমি যথাসম্ভব চেষ্টা করে যাচ্ছি আমার রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে। কিন্তু তাও আমি নিশ্চিত আমার চেহারায় রাগের ভাব ভালোই পরছে তাহলে নাদিম কেন বুঝতে পারছে না বিষয়টা? অবলীলায় নির্লজ্জের মত মুখ বাকিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
"কি হলো খাবেন না?"
"আমি এখানে কিভাবে?"
হাতের প্লেটটা রেখে এবার গাম্ভীর্যের সাথে আমার দিকে তাকালো সে। আমিও অপেক্ষা করলাম তার কথা শোনার জন্য। শেষবার আমি আমার ঘরে ছিলাম আমার মনে আছে, এরপর বড় ছাদে গিয়েছিলাম ভাইয়ার ক্যাসেট শোনার জন্য। সেখান থেকে নাদিমের ঘরে আসার পেছনের রহস্যটা আমাকে উদ্ঘাটন করতেই হবে। এটা কোন ছেলে খেলা নয়!
"বুঝেছি! এই কারণেই আপনি তাহলে এভাবে রেগে বোম মেরে আছেন!"
বলেই হো হো করে হেসে দিল। এই লোকটার কি জ্ঞান বুদ্ধি বলতে কিছু আছে নাকি সেটাও তেলে ভেজে খেয়ে ফেলেছে?
"আপনাকে কাল রাতে ছাদে বসে বসে কাঁদতে শুনলাম। আমি কালকে আপনাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম আপনার বাবার সাথে কিছু কথা বলার জন্য আর তখন ছাদে যেতে ইচ্ছে করলো। গেলাম, গিয়ে দেখি আপনার এই অবস্থা। ডাকার পরেও আপনার হুশ আসলো না। কি যেন বিড়বিড় করতে করতে আপনি অজ্ঞান হয়ে পরেন। আপনার ঘরে পরী ঘুমাচ্ছিল আর বাড়ির সবাই অনেক চিন্তিত হয়ে পরতো আপনাকে ওভাবে দেখলে তাই আমার বাড়িতে নিয়ে এসেছি। হিহি।"
নাদিমের সব কথা শুনে আমি আকাশ থেকেই পরলাম বলা যায়। সায়কা! কি হয়েছে তোর? ভাইয়ার একটা রেকর্ডিং শুনেই তুই নিজের এই অবস্থা করলি? তাহলে পরে এত সব পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করবি কিভাবে? গাধা কথাকার একটা! এত দুর্বল হলে চলবে কিভাবে! কিন্তু আমাকে ছাদ থেকে এখানে তার ঘরে আনলো কিভাবে? তাও আবার বাড়ির সবার সামনে? আমি রক্তলাল দৃষ্টিতে তার দিকে তাকালাম আর দেখি সে তখন‌ও মুখে হাসি ঝুলিয়ে বসে আছে।
"প্রতিদিন সকালে ব্যায়াম করি, আপনি নিজেই তার প্রমাণ তাই একটা মেয়েকে এক ছাদ থেকে আরেক ছাদে নিয়ে আসা আমার জন্য কোন ব্যাপার ছিল না। বাকিটা রহস্য‌ই থাকুক।"
মনের কথা পড়তে পারার ডিগ্রী আছে নাকি তার! বেশি কিছু আর বললাম না আমি। কাপকেক একটা নিয়ে মুখে ঢুকিয়ে বিছানা থেকে নেমে দাঁড়ালাম। খাবারের প্রতি লোভ আবার আমি সামলাতে পারি না তার উপরে এত কষ্ট করে সে বানালো তাই না খেয়ে থাকতে পারলাম না।
"চলে যাচ্ছেন? ডাক্তার এসে আপনাকে দেখে গিয়েছিল আর বললো যে আপনি কোন একটা বিষয় নিয়ে মানসিক চাপে আছেন। সেটা কমাতে বলেছে নাহলে আপনার মস্তিষ্কে এর বাজে প্রভাব পরবে। স্ট্রোক, হার্ট এটাক কিন্তু এসব কারণেই হয়ে থাকে। আপনি কি কোন সমস্যায় আছেন? চাইলে আমাকে বন্ধু ভেবে বলতে পারেন।"
ডাক্তারকে আসছে বোঝাতে মানসিক চাপের ক্ষয়ক্ষতি! তাকে উত্তর না দিয়ে আমি ছাদে উঠে আসলাম। এই ছাদে আসতে আমি নিজেও একটু অবাক হলাম। এই লাগোয়া ছাদটাও তার ঘরের সাথে লাগানো আর এইটাই আমার ব্যাক্তিগত ছাদটার একদম পাশে। তাই তো বলি নাদিম সারাক্ষণ কিছুক্ষণ পরপর ছাদে আসে কিসের জন্য!
ছাদটা একটু ঘুরে আমি আমার ছাদে চলে আসলাম। পেছন ঘুরে একবার নাদিমের দিকে তাকালাম। ছেলেটাকে আমি চিনি না, তার ব্যাপারে কোনকিছুই জানি না আর সেই অর্থে নিজের বুকের ভেতরের এই ধড়ফরানিকে উৎসাহ দেওয়াটা একদম ঠিক হবে না। কোন ভাবেই নিজের অনুভূতিকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। এতে নাদিম ও আমার, দুজেনর‌ই ক্ষতি হবে।
"পরেরবার বেকিং সোডা একটু কম দিবেন তাহলে পারফেক্ট হবে।"
তার খাবারের ফিডব্যাক তাকে দিয়ে আমি হেটে চলে গেলাম। একবার ফিরে তাকাতে দেখলাম সে মিটমিট করে হাসছে যেটা দেখে আমার হৃদস্পন্দন আরো বেড়ে গেল। দ্রুত ঘরে এসে পরীকে ডেকে তুললাম।

-চলবে-

Продовжити читання

Вам також сподобається

6.1K 367 13
রশ্নী আবরার নামের ক্রাইম রিপোর্টারের হাতে উদ্ধার হয় এক নাম না জানা ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলা শিশু।রশ্নী আহত হয় এই ভেবে,মানুষ নিজের জাতকে কত তুচ্ছ করছে,এক ম...
Journey (Completed✅) Від Abiar Sultana Maria

Детективи / Трилер

12.4K 953 47
A walkway to destiny... ইটালিতে থাকা জেসমিন আয়াজ তার জীবনকে নতুন রূপে সাজাতে,নতুন মোড় নিতে শুরু করে "জার্নি"। এই জার্নি তাকে নিয়ে যায় আরেক জার্নির পথ...
159 0 43
(VOLUME - 2)This is the second volume of the book. Smut alart & this story is completely written in western style. A story where everyone has their...
1K 14 3
#Bangladesh #থৃলার #Bengaliwriter #Bangladesh