পর্ব ১৭

Start from the beginning
                                    

•   •
  •

এটা সবার থাকে না। ইট’স দ্য সাইন অফ লিলিথ!"
আমি নিজেই চমকে উঠলাম। ঠিকই তো! এটা কিভাবে সম্ভব? মানে হচ্ছেটা কি!
প্যান্ট পরানোর ইশারা করলেন তিনি আমাকে। তবুও মহিলা নড়লো না।
মহিলাটি বললেন,
"স্যার, একটু পরই তো সবাই গুরুর ধন নিয়ে মেতে উঠবে। তখন তো আমি চান্স পাবো না। যদি আপনি..."
হাসতে হাসতে বৃদ্ধ বললেন, "ওকে ওকে।"
তার অনুমতি পাওয়ামাত্রই আমার ধন মুখে পুরে নিলেন তিনি। প্রথমে পুরো ধনে জিহ্বা বুলিয়ে তা ভিজিয়ে নিলেন। এরপর শুরু করলেন চোষা। চপচপ চপচপ শব্দে ঘরে মুখরিত হয়ে উঠলো। আবেশে চোখ বুজে এলো আমার। ভদ্রমহিলার চোষন দেখেই আন্দাজ করা যায় যে এই কাজে তিনি যথেষ্ট পারদর্শী। মিনিট দশেক পরই তার মুখে মাল ছেড়ে দিলাম। এরপর পুরো মাল তিনি গিলে নিলেন। আমাকে প্যান্ট পরিয়ে দিলেন।
বৃদ্ধ বললেন,
"একটু পরই আপনার অভিষেক হবে।"
আমার হাত-পায়ের বাঁধন খুলে দিলেন তিনি। আমি অদ্ভুত একটা আবেশে যেন ভর হয়ে আছি। দৌড়ে পালাতে পারি, কিন্তু ইচ্ছে করছে না কেন জানি। আমাকে নগ্ন করে কালো রঙের পাতলা আলখাল্লা পরালেন তিনি।
আমি তাদের সাথে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে এলাম। দেখতে পেলাম আমি নামামাত্রই সবাই দুহাত উপরে তুলো সম্ভাষণ জানালেন।
আমি উঠে দাঁড়ালাম তাদের মধ্যমণি হয়ে। বৃদ্ধ নিজের পরিচয় দিলেন। তিনি নাকি লিলিথিয়ান কাল্টের বাংলাদেশ ব্রাঞ্চের নিয়ন্ত্রক, গুরু নন। তাদের নবনির্বাচিত গুরু আমি!
তিনি বললেন,
"সাবের, তুমি জানো না তুমি কি। ইউ আর দ্য সান অফ লিলিথ!"
আমার মাথার একপাশে চিনচিনে ব্যথা করে উঠলো। বলে কি! এই কনকনে শীতে উত্তরবঙ্গের এক অজপাড়াগাঁয়ের ভুতুড়ে বাড়িতে দাঁড়িয়ে আমি অনুভব করলাম যে সত্যি সত্যই আমি আমার মায়ের পরিচয় জানি না। মাথায় যেগুলো আসছে সবই ভাসা ভাসা। মানে কি!
বৃদ্ধ বললেন, "ইউ আর দ্য চুজেন ওয়ান গুরু! জানো কেন? কারণ তোমার মাধ্যমে ও তোমার বীর্যেই এই জগতে প্রবেশ করবেন মহান দেবী লিলিথ!"
আমি দুহাতে মাথা চেপে ধরে মেঝেতে বসে পড়লাম। মুহুর্মুহু ফ্লাশের মতো আমার চোখের সামনে নানান আজব আজব আকৃতি, সাইন, দেহাবয়ব ভেসে উঠছে। হঠাৎ আমি কল্পনায় দেখতে পেলাম একজন নারী একটা সিংহাসনে বসে আছেন। আমি বাজি ধরে বলতে পারি যে এই নারী পৃথিবীর কেউ নয়। কেননা এত সুন্দর মানুষ হওয়া সম্ভব নয়। দুধে আলতা গায়ের রঙ, দলানো শরীর, উঁচু স্তন ও ভরাট পাছায় নারীটিকে স্বর্গের অপ্সরী মনে হচ্ছে। তিনি বললেন, "সাবের, আমি তোমার মাধ্যমেই জগতে আসবো। আমাকে নিরাশ কোরো না।"
ইনিই লিলিথ!
আমি চিৎকার করে বর্তমানে ফিরে পেলাম। আমার সারা গা কাঁপছে। দেখতে পেলাম একতলার একদম কোনায় শূলে চড়ানো অবস্থায় নৃশংসভাবে মরে পড়ে আছে আমার বন্ধু রাইসুল। আমি গুঙিয়ে উঠলাম। আমার কাঁধে ব্লোজব দেয়া নারীটি হাত রেখে আশ্বস্ত করে বললেন, "তাকে বলি দেয়া হয়েছে দেবীর নামে।"
হঠাৎ করেই কোত্থেকে যেন একজন ভৃত্য ছুটে আসলো। তার হাতে রুপালি পেয়ালা, তার উপর আমার মোবাইল ফোন। কল বাজছে!
আমি ফোনটা হাতে নিয়ে স্ক্রিনে তাকালাম। খাদিজা! এতরাতে সে ফোন দিলো কেন? তাও এমন সময়!
আমি কল রিসিভ করে কানে ঠেকালাম। ওপাশ থেকে হন্তদন্ত হয়ে ভেসে অনেকগুলো কথা। আমি জিজ্ঞেস করলাম, "কি হয়েছে খাদিজা?"
"আপনে ঢাহায় আইবেন কবে?"
"কি হয়েছে বল।"
"আমার বাচ্চা পেটে..." বলে গুঙিয়ে উঠলো সে।
আমার পায়ের তলার মাটি যেন নড়ে উঠলো। বললাম, "মানে কি!"
"মানে হইলো আমার পেটে আপনের বাচ্চা।"
"এ...এটা....কিভাবে সম্ভব! আমি ছাড়াও তো তোকে অনেকেই চোদে।"
নীরবতা।
আমি আবারও বললাম, "কথা বল খাদিজা।"
এবার মুখ খুললো সে। বললো,
"আপনে ছাড়া আর কেউ কনডম ছাড়া চোদে নাই আমারে।"
"কি!"
"মেসের বাকিরা আমারে সবসময় কনডম লাগায়া চোদসে।"
আমার জগতটা যেন দুলে উঠলো। মনের গহীন থেকে বৃদ্ধের বলা কথাগুলো ভেসে এলো।
তোমার মাধ্যমে বা তোমার বীর্যেই জগতে প্রবেশ করবেন মহান দেবী লিলিথ...

সমাপ্ত

লিলিথিয়ানWhere stories live. Discover now