সময়-যান প্রস্তুত

19 1 0
                                    

"হয়েছে! হয়েছে! আমাদের আবিষ্কার সাক্সেসফুল!"- চেঁচিয়ে উঠলেন প্রোফেসর অনিরুদ্ধ ঘোষ। তাঁর মুখের আনন্দ নিঃসন্দেহে ব্যক্ত করে তাঁর অন্তরের উৎফুল্লতা। "অবশেষে! অবশেষে আমি এবার পাব বিশ্বরক্ষকের শিরোমা! অবশ্যই পাব আমি!"

এ ঘটনার গোড়াপত্তন এক-দু'দিন নয়, বরং দু' বৎসর। একটি আণুবীক্ষণিক অথচ মারণ জীব; যার নামকরণ করা হয়েছে 'করোনা', পৃথিবীতে ত্রাস ছড়িয়েছে। মৃত্যুর পর মৃত্যু চলছে সমস্ত জগৎ জুড়ে। মানুষকে উপদেশ দেওয়া হয়েছে শারিরীক দুরত্ব বজায় রাখতে, নিজের ঘরেই থাকতে; অথচ, কিছু মানুষ অকারণে এই উপদেশলঙ্ঘন করছে। হয় তারা মনে করে "আমারা অমর" অথবা "করোনা অতোটাও ভয়াবহ নয়"; এই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে নিরন্তর বেড়ে চলেছে রোগসংক্রমণ।

এই সময়েই সবার দৃষ্টির অগোচরে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে একদল বৈজ্ঞানিক; যাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিখ্যাত বিজ্ঞানী প্রোঃ অনিরুদ্ধ ঘোষ। তাঁর মতে এই রোগ 'নিরাময়' দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না, রোগটিকে 'প্রতিরোধ' করতে হবে; এবং ভবিষ্যতে এর একটা ফলপ্রদ ছাপ ফেলার জন্য অতীতকে পরিবর্তন করতে হবে; অগত্যা একটি বৈজ্ঞানিকদের দল শুরু করল সময়-যান সৃষ্টির কাজ।

আজ অবশেষে কাজের সমাপ্তি ঘটলো। আনন্দে, উৎসাহে, উৎফুল্লতায় তিনি চেঁচিয়ে উঠলেন- "হয়েছে! হয়েছে! আমাদের আবিষ্কার সাক্সেসফুল!"

তাঁদের পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রোঃ অনিরুদ্ধ সময় যাত্রা করবেন। অতীতের মানবজাতিকে সচেতন করতে হবে, তবেই প্রতিরোধ করা যাবে এই মারণ বীজাণুকে। প্রোঃ বিশ্বাস; প্রোঃ অনিরুদ্ধের প্রধান সহকারী; তাঁর সঙ্গে একবার হস্তমিলন করলেন, তারপর প্রোঃ অনিরুদ্ধ গিয়ে উঠলেন তাঁর সময়-যানে। 

মহাপাপWhere stories live. Discover now