পর্ব-১০

Start from the beginning
                                    

সিঁড়ি দিয়ে ধীর পায়ে নেমে আসছে কথা। অরণ্যের দেওয়া শাড়ি আর এক্সেসরিজ গুলো পড়েছে ও। নিজের পোশাকের সাথে সামঞ্জস্য রেখে হালকা করে লিপস্টিক লাগিয়েছে ঠোঁটে সাথে কাজলের রেখা টেনেছে চোখের সীমানায়,,, চুলগুলো বরাবরের মতোই খুলে রাখা। ব্যাস এটুকুতেই শ্যামঙ্গিনী কথাকে অপরূপা লাগছে।

                       

                            কথার লুক

অরণ্য যখন এই শাড়িটা কথার জন্য পছন্দ করেছিল তখন ওর মনে হয়েছিল কথাকে সুন্দর লাগবে শাড়িটা পড়ে। কিন্তু মেয়েটাকে যে এতটা মোহময়ী লাগবে সেটা ও ধারণা করতে পারেনি।

কথা সিঁড়ি থেকে নেমে অরণ্যের সামনে এসে দাঁড়ালে দুইজোড়া চোখের মিলন ঘটলো। অরণ্যর ইসৎ নীল চোখদুটোয় নিজের জন্য একরাশ মুগ্ধতা দেখে লজ্জায় মুখটা অবনত করে নিলো কথা। কিন্তু বেশিক্ষন এইভাবে থাকতে পারলোনা। ওর অবাধ্য চোখের দৃষ্টি আবার অরণ্যের ওপর গিয়ে স্থির হলো।

ক্যাজুয়াল লুকে সত্যিই আজ অনবদ্য লাগছে অরণ্যেকে। সাদা বডি ফিটিং শার্টটাতে সুগঠিত পুরুষালি চেহারাটা খুব ভালোভাবেই ফুটে উঠেছে। চোখে থাকা কালো ফ্রেমের চশমাটা ওর মুখের বুদ্ধিদীপ্ত ভাবটাকে আরও প্রকট করেছে।
অরণ্যকে দেখে একরাশ ভালোলাগা ছেয়ে যাচ্ছে কথার মনে। কে বলেছে পুরুষরাই শুধু প্রিয় নারিটির রূপে মুগ্ধ হয়, নারীরাও প্রিয়তমের রূপে সমানভাবে আকৃষ্ট হয়।

                             অরণ্যের লুক

প্রেয়সীকে নিজের দিকে লজ্জামিশ্রীত ভালোলাগা ভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে দেখে অরণ্য কথার কাছে গিয়ে ওর কোমরটা জড়িয়ে ধরে বললো
- আমিতো তোমারই, আমাকে দেখবে তাতে এতো লুকোচুরি করার কী দরকার।
-আ.. আমি মোটেও আপনাকে দেখছিলামনা। আমিতো... হ্যাঁ আমিতো আপনার গলায় ওই লাল দাগটা দেখছিলাম।
-ও তুমি আমাকে দেখছিলেনা অথচ কালকে যে একটা জংলী বিল্লি আমার গলায় কামড়ে দিয়েছিলো সেটা দেখতে পেলে।
-আমি মোটেও জংলী বিল্লি নয়।
-আরে আমি আবার কখন তোমাকে জংলী বিল্লি বললাম!!
-এইমাত্র তো বললেন আপনার গলায় জংলী বিল্লি কামড়ে দিয়েছে। ওটা তো আমিই করেছিলাম তাহলে আপনি উল্টো দিকে দিয়ে জংলী বিল্লি বলতে আমাকেই বোঝাতে চাইলেন তাইনা।
বিজ্ঞের মতো কথাটা শেষ করে অরণ্যর টেডি স্মাইলওয়ালা মুখের দিকে তাকাতেই রূপকথা বুঝতে পারলো ও ফ্লোয়ে ফ্লোয়ে কীসব বলে গেছে। উফফ এই লোকটাও না ডেভিল একটা ইচ্ছা করে ওকে রাগিয়ে দিচ্ছিলো যাতে কালকের রাতের কথা ওর মুখে স্বীকার করিয়ে ওকে ভালোরকম লজ্জায় ফেলতে পারে।
কথার লজ্জায় লাল হয়ে যাওয়া মুখটা দেখে অরণ্য বললো
-এতো বেশি লজ্জা পেওনা সোনা। তোমার লজ্জারাঙা মুখটা দেখলে আমার নিজেকে সামলে রাখা মুশকিল হয়ে যায়। ইচ্ছা করে আদরে আদরে ভরিয়ে তুলি তোমাকে।
অরণ্যর প্রেমমিশ্রীত কথা শুনে কথার মুখে লেগে থাকা লজ্জার রঙটা আরও কিছুটা গাঢ় হলো। ও হালকা ধাক্কা দিয়ে অরণ্যকে নিজের সামনে থেকে সরিয়ে বাইরের দিকে ছুটে গেলো। অরণ্যও হাসতে হাসতে কথার দিকে এগোলো।
.
.
.
শুটিং স্পটে পৌঁছে অরণ্যের গাড়ি থেকে নামার সাথে সাথেই বেশ কয়েজনের মুগ্ধতা ভরা দৃষ্টি কথার ওপর এসে পড়লো। কিন্তু অরণ্যর তীক্ষ্ণ দৃষ্টির শিকার হওয়ায় কেউ দ্বিতীয়বার আর সেই সাহস দেখালোনা। কথার হাত ধরে অরণ্য স্পটের দিকে এগিয়ে গেলো।
অরণ্য সবেমাত্র ষ্টুডিওয় ঢুকতে যাবে এইসময় একটি মেয়ে হঠাৎ করে এসে অরণ্যকে জাপ্টে ধরলো। আচমকা এরকম হওয়ায় কথার ধরে থাকা হাতটা অরণ্যর হাত থেকে ছেড়ে গেলো যার ফলে অরণ্যর থেকে কিছুটা দূরে সরে গেলো কথা।
.
.
.
❤️ক্রমশ❤️
কেউ আসছে কেউ আসছে..

লাভ মি লাইক ইউ ডু 🔞Where stories live. Discover now