তোমার নামে সন্ধ্যে নামে (কঠোর ভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য) 🔞🔞 পর্ব ১০

170 2 0
                                    

অরবিন্দ বাবু তিন তলার একটি বিদেশী আসবাবপত্র দ্বারা  সুসজ্জিত একটি গেস্ট রুমে মধুরার থাকার বন্দোবস্ত করেন এবং দুজন কাজের মহিলাকে মধুরার প্রয়োজনীয় যাবতীয় জিনিসপত্রের দায়িত্ব দিয়ে নিজের ঘরে চলে যান।
.........................................................................................

যশবন্ত নিজের ঘরে সোফায় এসে বসে, গলার টাইটা হাত দিয়ে টেনে আলগা করে এক মনে কিছু ভাবতে থাকে। এরই মাঝে অদিতি দেবী যশবন্তের ঘরে ঢুকে দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে যশবন্তকে বলেন, "এসব তুই কি শুরু করেছিস যশ?...... আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না, তোর তো তানভীর(Tanvi) সাথে এনগেজমেন্ট হয়ে গেছে, তাহলে এখন এসব কি?.......তুই টাকার জন্য তানভীর জায়গায় অন্য মেয়েকে বিয়ে করবি যশ!!!....."

"উফফ মা যেটা জানো না সেটা নিয়ে কথা বলো না, আমার এখন ভালো লাগছে না, আমাকে বিরক্ত করো না....." যশবন্ত কিছুটা বিরক্তির শুরু বলে।

"আমি আজ সত্যিটা না শুনে কোথাও যাবো না, আমাকে আজ তুই শুধু সত্যি বলবি যশ, কিসের সম্পর্ক তোর তানভীর সাথে, তুই কি আদৌ তানভীকে ভালবাসিস?......নাকি আদৌ তুই এই মেয়েটাকে ভালবাসিস?......তোর কোনটা সত্যি কোনটা মিথ্যে?......." অদিতি দেবী কথা বলতে বলতে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন।

"আমি তানভীকে ভালোবাসি না, আমি বাধ্য হয়েছিলাম ওকে বিয়ের জন্য রাজি হতে......" কিছুটা গম্ভীর হয়ে যশবন্ত বলে।

"কেন, কিসের জন্য বাধ্য হয়েছিলস তুই......." অদিতি দেবী ভ্রু কুঁচকে যশবন্তের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করেন।

"যখন সময় আসবে আমি তোমাকে সব কিছু খুলে বলবো মা, এখন আমি খুব ঘেঁটে আছি মা, আর আমাকে বিরক্ত করো না,........ কিন্তু একটা কথা মধুরাকে আমি অনেক আগে থেকেই চিনতাম এবং ভালবাসতাম, তখন আমি ওকে পাইনি, কিন্তু এখন যখন পেয়েছি তখন আর কোনও মূল্যেই আমি ওকে হারাতে রাজি নই....." যশবন্তের কথায় শুধুমাত্র দীর্ঘশ্বাস ফেলেন অদিতি দেবী।

.........................................................................................

বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে এসেছে, এসির তাপমাত্রা ২০° তে করে অঘোরে ঘুমিয়ে যাচ্ছে যশবন্ত। আজ এতো ঝামেলার মাঝে তার আর অফিস যাওয়া হয়নি, আজাদকে ফোন করে অফিসের যাবতীয় কাজ বুঝিয়ে দিয়ে আজকের দিনটা বাড়িতে থাকারই সিদ্ধান্ত নেয় ও। তাছাড়া কদিন ধরে ওর ওপর কম ঝর ঝাপটা তো যাচ্ছে না, প্রথমে অরবিন্দ বাবুর গাড়ির ব্লাস্ট, পুলিশ এখনও কাউকে সেরকম সাসপেক্ট করতে পারছে না, তারপর একদিকে তানভী, একদিকে মধুরা, আর এসবের ওপর ওর কোম্পানির ফাইল যা আজ তিনদিন হতে চললো আজাদ বা যশবন্ত কেউই খুঁজে পাচ্ছে না, আর এই ফাইলটার ব্যাপারে ওরা দুজন ছাড়া কেউই জানে না, সব মিলিয়ে যশবন্তের এখন পাগল পাগল অবস্থা।

তোমার নামে সন্ধ্যে নামে (কঠোর ভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য) 🔞🔞 পর্ব ১Kde žijí příběhy. Začni objevovat