ব্যাখাহীন

By FairuzFiza

54 4 8

তারা নামক মেয়ের কাহিনী। More

💔

33 1 3
By FairuzFiza

"কবুল" কথাটা শোনার সাথে সাথে তারা তার বাবার দিকে তাকায়।আজ....তারার বাবার বিয়ে।

......................................................
সাদিক কিচ্ছুক্ষণ মেয়েটার দিকে তাকায় থাকে।এটাই তার মায়ের মেয়ে হতে যাচ্ছে তাইলে।মেয়ে নাকি সৎ-মেয়ে(!) কে জানে....?
সে কিচ্ছুক্ষণ মেয়েটার দিকে টানা তাকায় থাকে।বড় বড় চশমায় চেহারাটা প্রায় অর্ধেক ঢাকা বলা যায়।সে যখন নিজের চশমাটা একটু উপরে উঠায় তখন মেয়েটাও উঠায়।শয়তান তো!!
.............................................................
-তোমার নাম তারা না???এইদিকে আস...

তারা চুপচাপ তার নতুন মায়ের সামনে যায়তার নতুন মা তারার হাতগুলো ধরে বলে...

-শোনো....আমি জানি আমি এই ঘরে নতুন।কিন্তু তুমি তো পুরনো???তাই না???
-হুম...
-তারা....তুমি আমাকে সাহায্য করতে পারবে না????এই ঘরে পুরানো হওয়ার জন্য???আমার যদি কোনো সমস্যা হয় তাইলে কি আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করতে পারব তারা???

তারা মাথা নিচু করে উত্তর দেয়।
-জি...আন্টি...
-আন্টি????? তুমি আমাকে চাইলে "মা" ডাকতে পার....যদি তোমার কোনো অসুবিধা না হয়।ঠিক আছে???
-হুম....
-তোমার বয়স কত????
-জি...আন্টি....না... মানে..মা,আমার বয়স সতেরো।
-তুমি জানো...আমার ছেলেটার বয়স এখন ২১...তোমার সাদিক ভাইয়া।সে কিন্তু আমার এই বিয়েতে রাজি ছিল না।আমি এইজন্য বিয়েটাও করতে চাই নাই।কিন্তু....আমার বাবা-মাই এই বিয়েটা তাও দিয়ে দিল।
আমি শুনেছি,তুমি তোমার বাবার এই বিয়েতে রাজি ছিলা.....কিন্তু কেন????তোমার তো আমাকে মা হিসেবে মানিয়ে নিতে কষ্ট হওয়ার কথা।তাও কেমনে এই বিয়েতে রাজি হলা????
-আসলে আন্টি....না,মানে মা..আমি আসলেই এই বিয়েটা হোক...তা চাইছিলাম।
-কেন???
-কারণ...কেঊ কখনো লাইফ জার্নি একা শেষ করতে পারে না।যদি পারেও তবে তা খুব কষ্টে....আর আমি চাই না আমার বাবার ক্ষেত্রে তা হোক।আমার যদি কোনো দিন বিয়ে হয়ে যায় তবে,আমার বাবা সম্পূর্ণ একা হয়ে যাবে।যখন আমার বাবার হাটার মত শক্তি থাকবে না...তখন একজনকে তো লাগবেই যে আমার বাবার হাত ধরবে,আমার বাবা যার হাত ধরে চলবে....
তারার নতুন মা কিচ্ছুক্ষণ তারা দিকে তাকিয়ে থাকে.....একটা সতেরো বছরের মেয়ের চিন্তা-ভাবনা কিভাবে এত গভীর হতে পারে!!!!
-তারা...তুমি আমার নাম জানো???
-জি...আপনার নাম নিলা।
-তারা তুমি জানো....তুমি অনেক সুন্দর মেয়ে....!
-ধন্যবাদ...
তারা কথাটা বলেই নিজের রুমে চলে যায় শুয়ে পড়তে।নিলার ইচ্ছা ছিল মেয়েটাকে একটু জড়ায় ধরার।কিন্তু....তারার চলে যাওয়া দেখে আর কিছু বলে না।

....................­....................­....................­...
-আপনার মেয়েটা অনেক বুদ্ধিমতী। আমি কিচ্ছুক্ষণ আগে আপনার মেয়েটার সাথে কথা বলেছিলাম।
-না,না...তোমার বোধহয় ভুল ধারণা হয়েছে।ও একদম বুদ্ধিমতী না।ওর পরীক্ষার রেজাল্ট আসলে বুঝবে...ও কখনোই রেজাল্ট ভাল করে না।
-তাও....আপনার মেয়েটা অনেক বুঝদার।আবার অনেক সুন্দর ও...
-বোধহয়,ও তোমাকে ওর কথার যাদুতে ফেলে দিয়েছে।বলে রাখলাম...তারা কিন্তু অনেক অলস আর শয়তান মেয়ে।
-আমার ছেলেও কম না...
-নাহ....আমি তোমার ছেলের রেজাল্ট দেখেছি....খুবই মেধাবী ছেলে।মাশাল্লাহ...
নিলা আর তারার বাবা একে অপরের দিকে তাকায়ে হালকাভাবে হাসে।

....................­....................­....................
-সাদিক...আজ তোর বাসায় একটা মেয়েকে দেখলাম।কে ওইটা...???
-আর কে????আমার সৎ-বোন....লেখাপড়া কিছু করে না।কলেজেও যায় না প্রায় সময়।
-ওহ...মানে তোর বাবার মেয়ে...দেখতে তো বেশ সুন্দর।কিরে বাসায় এত সুন্দর মাল।আগে বলছ ও নাই...
-বলতাম....যদি না আমার বোন হইত সম্পর্কে।
সাদিক এই বলে আর কিছু বলে না।ওর ফ্রেন্ডরা তারার সম্পর্কে আরো আজেবাজে কথা বলেই যায়।সাদিক অন্যান্য সময় এইধরণের আলোচনা করে...কিন্তু আজ কোনো এক কারণে করছে না।তার আজ এই আলোচনা গুলো বিরক্তই লাগছে।

....................­....................­....................­......
-আপনি যার জন্য কঁদছেন সেই মেয়েটা একদম ভালো না...
সাদিক চমকে তাকায় পিছনে।
-সিগারেট স্বাস্থ্য-এর জন্য ক্ষতিকর।
তারা বলে যেতে থাকে।
-এই মেয়ে....তুমি আমার রুমে না বলে ঢুকে পড়েছ কেন???
-আপনি তো কখনো বলেন নাই বলে ঢুকতে হবে....
-ম্যানারস নামের কি কোনো জিনিস নাই তোমার মধ্যে???
-আপনি এখনো ঐ মেয়েটার চিন্তায় সিগারেট খেয়েই যাচ্ছেন আর আমাকে ম্যানারস শিখাচ্ছেন???
সাদিক কিচ্ছুক্ষণ অবাক হয়ে তারার দিকে তাকিয়ে থাকে...
-কোন মেয়ের কথা বলছ তুমি????
-যার কথা আপনার ডায়রিতে লেখা আছে...উনার!!!!
-কি????? তুমি আমার ডায়রি পড়েছ???বেয়াদব মেয়ে.....বের হয়ে যাও এই রুম থেকে।
-আমি কিন্তু আপনার ভালোর জন্যই বলছি।
-তোমার সাহস কত বড়!!!! তুমি এখনো আমার রুমে দাঁড়িয়ে আছ(!)আমার ডায়রীতে কখনো আমার মা হাত দেয় নাই,আর তুমি....
-আমি আপনার ডায়রী ইচ্ছা করে পড়ি নাই।আপনি আপনার টেবিলে তা খোলা রেখে চলে গিয়েছিলেন....আমি বুঝি নাই যে এটা আপনার ডায়রি।
সাদিক এবার তারার হাত ধরে তারাকে নিজের রুমের বাইরে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়।আর দুম করে দরজাটা বন্ধ করে দেয়।(!)

......................................................................
-এই শোন,সাদিক বাবা...
-বল...
-তুই তো বাইরে বের হচ্ছিস,একটু তারাকেও কলেজে ড্রপ করে দিয়ে আয়।
-না...আমি পারব না।
-সাদিক....প্লিজ.... একটু ড্রপ করে দে না।অশুবিধাটা কি শুনি???
-আচ্ছা আচ্ছা...ঠিক আছে।
-এই তো আমার লক্ষ্মী ছেলেটা।
সাদিক বিরক্ত চেহারায় বের হয় বাসা থেকে।দেখে....তারা বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে আগে থেকে।
-চলো...তোমাকে মা ড্রপ করে দিতে বলেছে।
-অসুবিধা নেই...আমি জানি আপনার আমাকে ড্রপ করে দেয়ার কোনো ইচ্ছা নাই।সুতরাং...আপনি নিজে নিজেই চলে যান।আমি একা চলে যেতে পারব।
-এই মেয়ে....বেশি কথা বলবা না।আমার এমনিতেও তোমাকে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা নাই।মা বলেছে তাই নিয়ে যাচ্ছি...
-আমি একা যেতে পারব।
-ঠিক আছে...আমি চলে যাচ্ছি।তুমি একা চলে যাবা তাইলে...
-আচ্ছা....আর শুনুন।যাওয়ার সময় সামনের বট গাছটার নিচের দিকে একবার তাকাবেন।দেখবেন....সেইখানে একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।মেয়েটির নাম রিনা আপু।
এই কথাটা বলেই তারা চলতে শুরু করে।সাদিকও আর কিছু বলে না।

....................................................................
সাদিক আগে কখনোই খেয়াল করে নাই এই মেয়েটিকে।কিন্তু তারা বলার পর সে গত একমাস ধরে মেয়েটাকে।খেয়াল করছে।
মেয়েটা তারই সাথে পড়ে।এবং আশ্চর্যভাবে মেয়েটা তার পিছুও নিচ্ছে বলা যায় এক প্রকার।তাই আজ সাদিক মেয়েটার সাথে কথা বলে....
-তুমি আমার ক্লাসেই তো পড় মনে হয়!
-হ্যা...
-তোমার নাম...
-আমার নাম রিনা।
- তুমি....রিনা....আমার মনে হচ্ছে তুমি আমাকে ফলো করছ.।
-হ্যা।
সাদিক মেয়েটার সোজা উত্তরে আশ্চর্য হয়।তার মনে একটা আশংকা জন্মায়।
-কেন???
-কারণ,আমি তোমাকে ভালবাসি।
সাদিক কিছুক্ষণ কিছু বলতে পারে না।কি বলে এই মেয়ে???
-এই মেয়ে....তুমি কি বলছ তুমি জানো??
-জি....বলুন
-তুমি আমার ব্যাপারে কিছুই তো জানো না।তো?
রিনা হেসে বলে...
-কে বলেছে???
-মানে কি????তুমি আমার মত সিগারেট খোর,মদ খোরকে ভালবাস??
-হ্যা... ভালবাসি....অনেক ভালবাসি।
সাদিক এবার মলিন চেহারায় জিজ্ঞেস করে।
-কেন???
-কেন???তা আমার জানা নাই....কিন্তু আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি....অনেক।
মেয়েটা এবার কথাগুলো বলেই সাদিকের দিকে তাকিয়ে থাকে।যেই তাকানিতে অনেক গভীর...না জানানো....অনেক দিনের লালিত ভালবাসা লুকানো রয়েছে।
সাদিক শুধু মেয়েটার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে।রিনার কথাবার্তা,তাকানো....সবকিছুই তার অতীতকে চোখের সামনে নিয়ে আনছে।

....................................................................
-আজ সিগারেট খাচ্ছেন না যে??
সাদিক গলাটা শুনে পিছনে তাকায়।
-রিনা আপুর কথা ভাবছিলেন??
-আমি যার কথা ভাবিই না কেন....তোমার কি আসে যায় তাতে???
-না...আসলে একটা কথা জিজ্ঞেস করতে আসছিলাম।
-কি কথা???
-আচ্ছা....আমি আপনাকে কি বলে ডাকব??
সাদিক কথাটা শুনে কিচ্ছুক্ষণ চুপ করে থাকে।তারপর বলে....
-আগে তোমাকে আমার কিছু প্রশ্নের কিছু উত্তর দিতে হবে।
-আচ্ছা....
-তুমি....সারাদিন নিজের রুমের ভিতর বসে থাক কেন????কোনো।কাজকাম করতে পার না????আমার মাকে কি এই জন্যই এনেছ??
-আমার ইচ্ছা করে না....
-কাজ করতে ইচ্ছা না হলেই কি চলবে???
-না না...আমার কাজ করতে না....রুম থেকে বের হতে ইচ্ছা করে না।আমার রেজাল্ট খুব খারাপ তো তাই আব্বু আর চাচী সারাক্ষণ আমাকে কথা শোনায়...
-তোমার রেজাল্ট ও খারাপ....আবার তুমি বাসার কাজকাম ও কোনো কিছু কর না....তো তোমাকে কথা শোনাবে না তো কি করবে???
তারার কথাটা শুনেই চেহারা খারাপ হয়ে যায়।আর কিছু বলতে পারে না।
-আচ্ছা....আপনার ও বোধহয় আমাকে সহ্য হচ্ছে না।আমি তাইলে আমার রুমে যাচ্ছি।
এই বলে তারা দৌড় দিয়ে রুমে চলে যায়।সাদিকও আর কোনো কথা বলে না।
...............................................................
-তো.....তুমি আজও আমার পিছু নিবে???তাই না???
রিনা চুপ করে থাকে কিচ্ছুক্ষণ।
-চল,আজ না হয় একসাথে বাসায় যাই।
-হুম।
দুজনেই কিচ্ছুক্ষণ নিশ্চুপভাবে চলতে থাকে।নিরবতাটা রিনাই ভাঙে।
-আপনি....হঠাতই আমাকে খেয়াল করেছেন।অথচ গত এক বছর...আমি আপনাকে ফলো করেছি।আর আপনি বুঝতেও পারেন নি????কেন????
-তোমার এই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আগে আমাকে একটা প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে....
-জি...বলুন
-তুমি আমার ব্যাপারে কি কি জানো???
-প্রায় সবকিছুই...
-কি কি???
-আপনি আপনার মার একমাত্র ছেলে,আপনার বাবা আপনাদেরকে অনেক আগে ফেলে চলে গেছে,কিছুদিন আগে আপনার মা আরেকটা বিয়ে করেছে কিন্তু এই বিয়েতে আপনি একদমই রাজি ছিলেন না....আপনার বাবার ঘরে একটা মেয়েও আছে।
-এসব খবর সবায় জানে.....তুমি তারাকে চিন????
-না....চিনি মানে....ও স্কুলে আমার জুনিয়র ছিল।এই আরকি....চেহারা চেনা.....আমি নাম জানতাম না।
-ঐ কিন্তু আমাকে প্রথম তোমাকে খেয়াল করিয়ে দিয়েছে...সেই বলেছিল,আপনার জন্য বট গাছের নিচে একটা মেয়ে প্রত্যেকদিন অপেক্ষা করে।
-তাই নাকি....??
-হুম...আরো একটা কথা।রিনা....
-জি...
-আমি কিন্তু একটা মেয়েকে অনেক ভালবাসি...
রিনা কথাটা শুনে থমকে দাঁড়ায়।
-আমি জানি তোমার জন্য কথাটা খুব কষ্টদায়ক। তাও বলছি....আমি জানি না আমি এখনো ঐ মেয়েটাকে ভালবাসি কিনা!!! তবে....
-তবে???
-জানো রিনা....আমিও কখনো তোমার মত আমার ভালবাসাটা ওর কাছে প্রকাশ করতে পারি নাই।ওর প্রতি ভালবাসাটা সারাজীবন বোধ হয় আমার মনের ভিতরই থেকে যেত....যদি না তারা বুঝত।
-তারা জানে????
-জানে....ও ভুলে আমার পার্সোনাল ডায়রীটা পরে ফেলে...এবং এরপরের দিনই ও আমাকে তোমার কথা বলে...
রিনা মুগ্ধ হয়ে সাদিকের কথাগুলো শুনতে থাকে।
-জানো রিনা....তোমাকে দেখার পর আমার মনে হয়েছে তুমি আমার অতিতের আয়না।তোমাকে দেখার পর,লক্ষ্য করার পর আমার কাছে আমার অতীতের কর্মকান্ডগুলো ভেসে উঠে...আমিও মেয়েটির জন্য ঠিক এইভাবেই পাগল ছিলাম।পরে একদিন জানতে পারলাম....
-কি???
-মেয়েটি ও অন্য কাঊকে ভালবাসে....এরপর থেকেই...বাকি কাহিনিগুলো অন্যদের মতই....নেশা করা,মদ খাওয়া....আর কিছু না।
রিনা কাহিনিগুলো শুনে চুপ করে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে...
-রিনা....এবার বল....এখনো কি আমায় ভালবাসবে???
-আমি সারাজীবন তোমাকে ভালবেসে কাটিয়ে দিতে পারব সাদিক।এখন তুমিই বল....ডিসিশন এখন তোমার উপর...
সাদিকও এবার চুপ হয়ে যায়।
-রিনা...আমাকে কিছুদিন সময় দিতে পারবে....
-জি... অবশ্যই...
-আচ্ছা....তাহলে কাল দেখা হবে....
-একটা কথা...
-কি???
-আমি...আমি একটু তারা সাথে দেখা করতে চাই...পারবে???
-তারা....ওর সাথে তো তেমন কথা হয় না...আচ্ছা তাও চেষ্টা করব।
-ঠিক আছে....খোদা হাফেজ।

......................................................................
-আসতে পারি???
-কে??? তারা...
-হুম..
-আসো...ভিতরে...কিন্তু কোনো জিনিসে হাত লাগাবা না...
-রিনা আপুর কথা ভাবছিলেন...হিহিহিহি...
-এই মেয়ে এতো হাসো কেন???
-আচ্ছা...আপনি রিনা আপুকে বিয়ে করবেন না???
-এতো তাড়াতাড়ি কিসের বিয়ে...
-আপনাকে কিন্তু রিনা আপু অনেক ভালবাসে।
-তো????আমি তো বাসি না...
তারা কথাটা শুনে বড়দের মত একটা হাসি দেয়।
-আচ্ছা....আপনাকে যদি দুইটা অপশন দেয়া হয়-
১.যাকে আপনি ভালবাসেন,কিন্তু সে আপনাকে ভালবাসে না...তাকে বিয়ে করতে।
২.আপনি তাকে ভালবাসেন না,কিন্তু সে আপনাকে খুব ভালবাসে....তাকে বিয়ে করতে।
তো আপনি কাকে বিয়ে করবেন???
সাদিক উত্তরটা দিতে গিয়েও থেমে গেল।
তারা আবার হালকা ভাবে হাসে....
-আমি জানি আপনি জীবনে যেই কষ্টটা ভোগ করেছেন সেইটা রিনা আপুও ভোগ করছে।আপনি কি চান....রিনা আপুও আপনার মত ভেঙে চুরমার হয়ে যাক।নাকি তার কষ্টটা সামান্য হলেও কমাতে চান।
সাদিক তারার দিকে কিচ্ছুক্ষণ হা করে তাকিয়ে থাকে।
-কাউকে ভালবেসে না পাওয়ার কষ্টটা আপনার চেয়ে কেউ ভালো বুঝবে না আশা করি।আপনাকে বলছি না আমি রিনা আপুকে ভাকবাসতে।শুধু উনার প্রতি সামান্য কেয়ার নিয়ে দেখেন....আপনার জীবন পাল্টে যাবে আশা করি।
এই কথাটা বলে তারা সবসময়ের মত চলে যেতে চায়।
-তারা...
-জি..
-তোমার সাথে রিনা দেখা করতে চায়।
-আচ্ছা....আপনি তাহলে কাল উনাকে নিয়ে বক্ট গাছের নিচে দাঁড়াবেন। আর...
-আর???
-আর...আপনি কখনো রিনা ভুলেও জানাবেন না যে আপনি যেই মেয়েটিকে ভালবাসতেন সেই মেয়েটি আর কেউ নয়;উনারই বেস্ট ফ্রেন্ড....রুপা।আজ রাতটা না হয়,রিনা আপু কান্না করে কাটিয়ে দিচ্ছে....এই কথাটা শুনলে উনি হয়তো বা....আত্মহত্যা ও করতে পারে।
সাদিক কিচ্ছুক্ষণের জন্য "থ" বনে যায়।তারা কি আদৌ মানুষ???নাকি জ্বীন-ভুত।

Continue Reading

You'll Also Like

303 2 27
১৯৯৪ সালে তাহাদের প্রথম দেখা। একই বাড়ির উপর-নিচতলায় বসবাস। বাড়িওয়ালার বুদ্ধিমতী মেয়েটা নতুন ভাড়াটে ছেলেটাকে মোটেও পছন্দ করে না। তবে বাবার নাকি তাকেই...
9.1K 633 35
তুমি ছিলে আমার সবটাতে, থাকবেও আমার সবটাতে।🥀
5.3K 135 6
লেখকের সাথে নীলাক্ষীর পরিচয়টা কাকতালীয়। তবে শেষটা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত... #নীলাক্ষী আমার লেখা তৃতীয় গল্প:)
13K 36 11
তানিমের ইরোটিক জগতে আপনাকে স্বাগতম। তানিম সিরিজের সবগুলো গল্প একসাথে। (সংগৃহীত সিরিজ)