লিলিথিয়ান

By samihossen88

3.3K 43 3

ভার্সিটি পড়ুয়া দুই যুবক অযাচিতভাবে ফেঁসে যায় এমন এক কাল্টের খপ্পরে, যারা জড়িত আছে নারকীয় ভয়াবহতায়... More

পর্ব ১
পর্ব ২
পর্ব ৩
পর্ব ৪
পর্ব ৫
পর্ব ৬
পর্ব ৭
পর্ব ৮
পর্ব ৯
পর্ব ১০
পর্ব ১২
পর্ব ১৩
পর্ব ১৪
পর্ব ১৫
পর্ব ১৬
পর্ব ১৭

পর্ব ১১

191 2 0
By samihossen88

১১
---
নদীর নাম ঘুটপুকুরি। রাইসুলদের বাড়ি থেকে ঘাটের দূরত্ব প্রায় আধঘন্টার পথ। হাঁটতে হাঁটতে চলে এলাম আমি ও আঙ্কেল চলে এলাম ঘাটের কাছে।
এই কনকনে শীতের ভোরে যে এখানটায় এত মানুষের ভিড় হবে তা কল্পনায়ও ছিল না আমার। রীতিমতো জমে গেছে বাজারটা। চারিদিকে লোকের কোলাহলপূর্ণ চিৎকার-চেঁচামেচি। কেউ মাছ বেচছে, কেউ ট্রলার ভাড়া দিচ্ছে, কেউ মাছের সংখ্যা গুনছে, কেউ মাছের বোল বেচছে। হুলুস্থুল কারবার।
আমি একটা উঁচু ঢিবির মতো জায়গায় দাঁড়িয়ে নদীর ছবি তোলার চেষ্টা করলাম। লাভ হলো না। বিধবার শাড়ির আঁচলের কুয়াশা গ্রাস করে নিয়েছে গোটা জায়গাটাকে। সিটি কর্পোরেশনের মশা মারার যন্ত্র থেকে বের হওয়া বিষাক্ত ধোঁয়ার মতো চোখ ঘোলাটে হয়ে আসছে। তবে পার্থক্য হচ্ছে; ঢাকার ধোঁয়া বিষাক্ত, এখানকারটা ফ্রেশ।
আমার বিস্ফোরিত দৃষ্টি দেখে আঙ্কেল বিড়বিড় করে বললেন, "দেইখা লও ব্যাটা! শহরে কি আর এমন হাট পাইবা নি?"
কথা সত্য। মন ভরে জায়গাটাকে দেখে নিলাম। আমি কয়েকটা ক্লান্ত মাঝির ছবি তুলে নিলাম। নদীর জল থেকে উঠামাত্র মাছগুলোর লম্ফঝম্পের কয়েকটা ভিডিও করে নিলাম।
আঙ্কেল মিনিট পাঁচেক পর এসে জানালেন, তিনি সবসময় যে ট্রলারে মাছ ধরেন সেটা ফিরতে একটু সময় লাগবে। তাই আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
আমি আরো ভালোভাবে ঘুরে দেখলাম চারপাশটা। ঘাটের গা ঘেঁষে আঁকাবাকা সরু একটা পথ চলে গেছে দূর পর্যন্ত। আমি সেই পথে বসে বেশ কায়দা করে কয়েকটা স্ট্রিট ফটোগ্রাফি করলাম। ব্যস্ত পথচারীরা বিরক্তিমাখা দৃষ্টি হানলো আমার উপর। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখি জেলে বন্ধুদের সাথে দেদারসে গাঁজা টানছে আঙ্কেল।
যেমন নেশাখোর পোলা, তেমনই বাপ, মনে মনে বললাম।
আমি সেই আঁকাবাকা পথ ধরে সামনে এগিয়ে গেলাম। ঘাটের পাশেই একটা ছোট্ট মসজিদ৷ সেখান থেকে সুললিত কণ্ঠে ছোট বাচ্চাদের কুরআন তিলাওয়াতের সুর মাতাল করে দেয়। লম্বা পথ হেঁটে পানির পিপাসা লাগলো। মসজিদে ঢুকে পানি পান করলাম।
এরপর বেরুতেই খেয়াল করলাম ১৭/১৮ বছর বয়সী এক মেয়ে খানিকটা দূরে দাঁড়িয়ে পান চিবোচ্ছে ও অদ্ভুতভাবে আমাকে দেখছে। অস্বস্তি হলো কিছুটা। গ্রামে আসার পর থেকে বেশ কয়েকজন মানুষ এভাবে আমার দিকে তাকিয়েছে। শহুরে মানুষকে কি এরা বিদেশি মনে করে নাকি?
আমি কুয়াশা ভেদ করে কিছুটা সামনে এগোলাম। এবার মেয়েটাকে স্পষ্ট দেখতে পেলাম। নাম-না-জানা একটা মোটা শুঁড়ির গাছের গায়ে হেলান দিয়ে এখনও পান চিবিয়েই যাচ্ছে সে। তবে তার দৃষ্টি সম্পূর্ণভাবে আমার উপর নিবদ্ধ।
মেয়েটার বেশ উদ্ভটভাবে একটা শাড়ি পরে আছে। নাকে বেশ মোটা একটা নথ, কপালে খুব ছোট কিছু একটা আঁকা। গলায় সোনালি রঙের চিকন একটা চেইন। ব্লাউজের ফাঁকফোকর দিয়ে উঁকি দিচ্ছে মাটি রঙা স্তনের অংশবিশেষ। গায়ের রঙ শ্যামলা। চোখদুটো কেমন যেন ঘোলাটে। বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকলে গা শিরশির করে ওঠে। এই ধরনের মেয়েদের সম্ভবত বলা হয় বেদে, খাস বাংলায় 'বাইদান্নি'।
আমি চলে আসতে নিলাম, তখনই পেছন থেকে মেয়েটা বলে উঠলো, "নতুন নি এহানে?"
"হ্যা।" বলে ঘুরে দাঁড়ালাম তার দিকে।
"গাঞ্জা আছে। খাবি?"
কিছুটা রাগ হলো এটা দেখে যে এত ছোট একটা মেয়ে আমাকে 'তুই' করে সম্বোধন করছে। ঢাকাশহরে হলে এতক্ষণে র্যাগিং দিয়ে বারোটা বাজিয়ে দিতাম। আমি বললাম,
"আমি গাঞ্জা খাই সেটা ক্যামনে বুঝলা?"
সে হাসলো। চোখ টিপে বললো, "সবই বুঝি৷ তুই যে গাঞ্জা ছাড়াও আরো অনেককিছু খাস, সেইটাও জানি।"
"মানে?"
সে সোজা হয়ে দাঁড়ালো। শাড়ির একাংশ কোমড়ে গুঁজে পানের ফিক ফেলে বললো, "চল।"
"কই?"
"গেলেই বুঝবি।"
আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো তাকে অনুসরণ করতে লাগলাম। পেছন থেকে দেখে বুঝলাম যে বয়স কম হলেও শরীরটা বেশ ভারি। পাছাটাও ৩৮ সাইজের কম হবে না।
সরু ও আঁকাবাকা গলি পেরিয়ে একটা ঘুপচি ঘরের  সামনে এসে থামলাম। আশেপাশে তাকিয়ে বুঝলাম এটা বেদেদের বস্তি। কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে জায়গাটাকে অপার্থিব লাগছে।
তালা খুলে মেয়েটা ঘরে ঢুকে গেল। আমাকে ইশারায় ঢুকতে বললো। আমি প্রবেশ করলাম।
ঘরটা টিনের তৈরি। বেশ ছোট। কোনোমতে একটা চৌকির মতো বিছানা ও ভঙ্গুর প্রায় ড্রেসিং টেবিল রাখা। ড্রেসিং টেবিলের উপরে রাখা প্রায় ১/২ কেজির একটা বড় গাঁজার পুটুলি রাখা। বোঝা গেল মেয়েটা খুব সম্ভবত গাঁজা ব্যবসায়ী।
এরপরের মিনিট দশেক বেশ ভালোই কাটলো। নিজ হাতে স্টিক বানিয়ে দিলো মেয়েটা। টান দিয়েই যেন হারিয়ে গেলাম কোথাও। বেশ উন্নতমানের গাঁজা!
নেশা করার একপর্যায়ে মেয়েটা বললো, তার নাকি অনেক গরম লাগছে। বলতে বলতেই সে তার পরনের শাড়ির উপরের অংশটা খুলে ফেললো। তসর পরনে স্রেফ পেটিকোট ও ব্লাউজ। গাঁজার গরম ও তার দেহের উষ্ণতা আমাকেও জাহান্নামে আগুনে নিক্ষেপ করলো যেন। আমিও টি-শার্টটা খুলে ফেললাম।
আমার শ্বেতাঙ্গ শরীরের দিকে একপলক তাকিয়ে রইলো সে। বিড়বিড় করে বললো,
"তোর শরীর তো সিনেমার নায়কের লাহান!"
মুচকি হেসে বললাম, "পছন্দ হইসে?"
"বহুত।"
সে কাছে এগিয়ে এলো আমার। ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলাম। আমার বুকে খেলা করতে লাগলো তার হাত। একদিনে দ্বিতীয়বার কোনো মেয়েকে চুদলাম।
আমি তাকে জড়িয়ে ধরলাম। পাগলের মত গলায়-ঘাড়ে চুমু খেতে শুরু করলাম। তার গা থেকে ভেসে আসছে গাঁজার মাতাল করা গন্ধ। দুহাত দিয়ে মাটির উপর থেকে তুলে নিয়ে বিছানায় গিয়ে পরলাম দুজন। এতক্ষণ মেঝেতে বসেই গাঁজা ফুঁকছিলাম দুজন। আমি তার গভির চোখের দিকে তাকিয়ে আছি। তার দৃষ্টি ঘোলাটে। কামের জন্য নাকি গাঁজার জন্য? আস্তে আস্তে মুখ নামিয়ে নিতেই সে ঠোঁট ফাঁক করে আমার ঠোঁট নিয়ে প্রথমে আস্তে আস্তে পরে আমার গলা দুহাতে জরিয়ে ধরে রাক্ষসের মত চুষতে শুরু করলো। আর মুখ দিয়ে অস্ফুট আওয়াজ করলো। আমি সেই অবস্থাতেই এক হাত তার ব্লাউজের ভেতর দিয়ে গলিয়ে দিয়ে দুধদুটো টিপতে শুরু করলাম। স্তন ঠিক নরম না তার, সামান্য শক্ত। বোঝা গেল নিয়মিত হাত চলে ওখানে। সে চুমু খাওয়া ছেড়ে ব্লাউজ খুলে দিলো। ওর দুধগুলো আমার হাতে তুলে দিলো। বড় কিসমিসের মত সাইজের বাদামি বোঁটা হাওয়া পেয়ে তিরতির করে কাঁপছে। আমি ঝাপিয়ে পরে মুখে নিয়ে চুষতে শুরু করলাম। একটা আরেকটা গায়ের জোড়ে পিষতে শুরু করলাম। আরামে শিৎকার দিচ্ছে, যেন আমাকে জানান দিচ্ছে যে আমি পারছি। তার নির্লোম বগল দেখে আমি তার দুহাত মাথার উপরে চেপে ধরে চাটতে শুরু করলাম। জিহ্বায় হাল্কা লোমের খোঁচা, নারী হরমোন আর গাঁজার মিলিত গন্ধ আমাকে মাতাল করে দিলো।
আমি উর্ধাঙ্গ অনাবৃত মেয়েটার নিটোল পেট ভালো করে দেখলাম। হাল্কা একটা ভাঁজ পরেছে নাভির কাছে। আমি নিচু গিয়ে নাভিতে চুমু খেলাম। আমি শাড়ির তলা দিয়ে মাথা গলিয়ে দিলাম। ভারি ভারি পাগুলো গোড়ালি দিয়ে কোনরকমে আমার পিঠের উপর রেখে ভারসাম্য বজায় রাখছে সে। শীৎকার করে চলছে অবিরত। মাথার চুল ধরে টেনে ধরছে। নিচে নামতে দিচ্ছেনা, খুব ছটফট করছে। আমি তার কোমল পাদুটো পায়ের পাতা থেকে চাটতে চাটতে নিচের দিকে আসছি। পাছা দেখার আর তর সইলোনা। আমি উল্টে দিলাম মেয়েটাকে। নধর পাছাটায় একটা ভারি প্যাণ্টি চেপে বসে আছে। কিছুতেই খুলতে পারছিনা। মেয়েটা সামনে দিয়ে কি করলো দেখলাম অনেক হাল্কা হয়ে গেলো। আমি যতটা সম্ভব টেনে নামালাম। দুটো গ্লোবের মত তুলতুলে সাদা মাংসের দলা থলথল করে বেরিয়ে এলো। আহ! দেখেই সুখ। গাল ঘষতে লাগলাম, চুমুর পর চুমুতে ভরিয়ে দিলাম। দুহাত দিয়ে তাল তাল করে মাংস চেপে ধরলাম, কচলালাম। তারপর আমার দুহাত দিয়ে ছড়িয়ে ধরলাম আর ওয়াক্স করা গোলাপি কুচকানো ফুটোটা চোখের সামনে ভেসে উঠলো। নাক গুঁজে দিয়ে বুক ভরে দম নিলাম। আহ!
মেয়েটা আর সহ্য করতে পারলো না। সায়া, শাড়ি সব খুলে ল্যাংটো হয়ে গেলো।
ঠাপে ঠাপে ভরিয়ে তুললাম। ভোরের নিস্তব্ধতা ভেদ করো শোনা গেল কেবল ঠপঠপ ঠপঠপ শব্দ...

Continue Reading

You'll Also Like

24.3K 2.1K 30
ဇာတ်လမ်း အကျဥ်းကတော့ ဝတ္ထုခေါင်းစဥ်အတိုင်းပါပဲ... လင်းမာန်ခက wormhole ကို ဖြတ်လာပြီး လွန်ခဲ့တဲ့ အနှစ် ၂၀ ကို ရောက်လာတယ် ။ သူ့အဖေက သူ ၂နှစ်သားထဲက ဆုံး...
5.2K 647 14
Due to his parents wanting him to find a partner and start a family, Jungkook ends up having some stranger act as his fake boyfriend. "Hello?" "Ah...
253 83 5
Or isay Zada Wafa bhi kya krtay Usi ki khatir usi ko chor dya
20.5K 957 24
*𝒘𝒉𝒊𝒔𝒕𝒍𝒆* "𝑾𝒐𝒓𝒍𝒅 𝒘𝒉𝒆𝒓𝒆 𝒂𝒓𝒆 𝒚𝒐𝒖 ~" "𝑫𝒐𝒏𝒕 𝒌𝒆𝒆𝒑 𝒎𝒆 𝒘𝒂𝒊𝒕𝒊𝒏𝒈. 𝒚𝒐𝒖 𝒌𝒏𝒐𝒘 𝑰 𝒅𝒐𝒏'𝒕 𝒍𝒊𝒌𝒆 𝒊𝒕 " "𝑾𝑶𝑹...